নতুন সংসদের উদ্বোধনকে বয়কট করেছে ১৯টি দল: গণতন্ত্রের আত্মা শুষে নেওয়া হয়েছে, মন্তব্য বিরোধীদের; এটাকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করবেন না, আমরা সবাইকে ডেকেছি, বলেন শাহ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কংগ্রেস সহ ১৯টি বিরোধী দল সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে ঘোষণা করেছে। বুধবার ১৯টি বিরোধী দল এক যৌথ বিবৃতিতে বয়কটের এই তথ্য জানিয়েছে। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (এএপি), তৃণমূল কংগ্রেস, দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম (ডিএমকে), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডিইউ), জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা দল, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ওয়াইসির এআইএমআইএম, কেরালা কংগ্রেস মানি, বিদুথালাই চিরুথাইগাল কুচ্চি, রাষ্ট্রীয় লোক দল, মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল এবং মারুমালর্চি দ্রাবিড় (এমডি) হবেন না এই অনুষ্ঠানের অংশ। তাঁরা বলেন, ‘সংসদ থেকে যখন গণতন্ত্রের প্রাণ টেনে নেওয়া হয়েছে, তখন নতুন ভবনের কোনো মূল্য আমরা দেখি না।’

ইতিমধ্যেই, রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে দেওয়ার জন্য দাবি করেছেন। উল্লেখ্য, ২৮ মে সংসদের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “৬০,০০০ শ্রম যোগী রেকর্ড সময়ে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করেছেন। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সমস্ত শ্রম যোগীদেরও সম্মান জানাবেন। এটাকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করবেন না। রাজনীতি তো চলতেই থাকবে। আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এই কর্মসূচিতে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করছি।”

অমিত শাহ আরও বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ব্রিটিশদের কাছ থেকে সেঙ্গোল (রাজদণ্ড) গ্রহণ করেছিলেন। এটি ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক। এটি একটি শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য, যাকে তামিল ভাষায় সেঙ্গোল বলা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও জনগণ এ বিষয়ে সচেতন নয়।

সেঙ্গোলকে জাদুঘরে রাখা ঠিক নয়। সেঙ্গোল নিয়ে গবেষণা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর এটি দেশের সামনে সংসদ ভবনে স্পিকারের চেয়ারের পাশে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। মোদি তামিলনাড়ুর একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে সেঙ্গোল গ্রহণ করবেন এবং নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন এটি ভবনে স্থাপন করবেন। সেঙ্গোল অর্থ সম্পদে সমৃদ্ধ।