HighlightNewsদেশ

গুয়াহাটিতে ভূমিধসে মৃত ৪; টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে বাড়ি, ঘুমের মধ্যেই মাটি চাপা শ্রমিকরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: অসমের গুয়াহাটিতে অবিরাম বর্ষণে শহরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সময়ে, মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির কারণে গুয়াহাটির বোরেগাঁও এলাকার কাছে নিজারাপার পাহাড়ে একটি ভূমিধসের কারণে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে সমস্ত শ্রমিক মারা গেছেন তাঁরা ভাড়া বাড়িতে বাস করছিলেন এবং বৃষ্টির সময় ঘুমোচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর পুরো বাড়ি তলিয়ে যায়। ভারী বর্ষণ শহরে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যার ফলে রাজ্য সরকার নাগরিকদের কাছে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

কর্মকর্তার মতে, সোমবার রাত থেকে গুয়াহাটিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে রাত একটার দিকে ভূমিধস হয়ে যায়। গুয়াহাটি পশ্চিমের ডিসিপি নবনীত মহন্ত জানান, দুর্ঘটনার পর ফায়ার ব্রিগেড, জরুরি পরিষেবার দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মৃতদেহগুলিকে বের করে আনা হয়। ডিসিপির মতে, এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও ব্যক্তির আটকে থাকার কোনও তথ্য নেই। তবে ওই এলাকায় এখনও তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

গুয়াহাটিতে লাগাতার প্রবল বর্ষণে শহরে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট হাঁটু পর্যন্ত জলে তলিয়ে গেছে, আবার কোথাও কোথাও জলের স্তর কোমর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। জল জমার কারণে অনেক বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে। গুয়াহাটি রেলস্টেশনের অ্যাপ্রোচ রোডও জলের তলায় তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে অসম এবং মেঘালয়ের জন্য আগামী চার দিন অর্থাৎ ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অনেক জায়গায় বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর পূর্বে ভূমিধস ও বন্যায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে অসম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। শুধুমাত্র অসমে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। পাশাপাশি, ভূমিধসের কারণে মেঘালয়ে ১৩ জন এবং অরুণাচল প্রদেশে ৫ জন নিহত হয়েছেন।

Related Articles

Back to top button
error: