৫ তারা হোটেলে বসে কৃষকদের দোষারোপ নয়, মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে ফের একবার সুপ্রিম তোপে কেন্দ্র। মামলার শুনানিতে আদালত বলেছে, ”যাঁরা পাঁচতারা হোটেলে ঘুমোয়, তাঁরা দিল্লির দূষণের জন্য কৃষকদের দায়ী করে চলেছেন।” পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানিয়েছেন, আমরা কৃষকদের শাস্তি দিতে চাই না। আমরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে বলেছি কৃষকদের অনুরোধ করতে, যাতে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য শস্যের নষ্ট অংশ পোড়ানো বন্ধ রাখা হয়।” দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় দূষণ রোধে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে আদালত।

বুধবার মামলার শুনানিতে টিভির বিতর্কসভার ওপর উষ্মা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। বেঞ্চের মন্তব্য, ‘টিভির বিতর্কসভা থেকে বেশি দূষণ ছড়ায়। যারা প্যানেলে অংশ নেন, প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত থাকে। আশপাশের কোনও খবর না রেখেই বিতর্কে বসে পড়েন। আর বিষয় বহির্ভূত মন্তব্য পেশ করেন। যদিও এব্যাপারে আমাদের কিছু করনীয় নেই, তাই যেখানে নিয়ন্ত্রণ করার সেদিকেই আমরা নজর রাখছি।” আদালত বলে, কেন কৃষকরা ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছেন? এটা নিয়ে ভাবতে হবে। দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে শুয়ে থাকেন যারা, তারা কৃষকদের দায়ী করছেন। একবার ছোটোখাটো জমি মালিকদের দিকে দেখুন। তাদের পক্ষে কি যন্ত্র কেনা সম্ভব? রাজ্য ও কেন্দ্র যদি একে অপরকে দোষারোপ করে, আসল বিষয়টা ছোটো হয়ে যাবে।

এদিকে দূষণের জেরে দিল্লি-এনআরসি এলাকায় স্কুল কলেজের দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। অফলাইনে পড়াশোনা আপাতত বন্ধ রেখে অনলাইনেই ভরসা করা হচ্ছে। সরকারি অফিস-কাছারিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে। বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার রাতে এমনই নির্দেশিকা জারি করে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনের (এনসিআর) কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট।