টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার বিধানসভা ভোটের সকাল থেকেই একের পর এক বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ছিল বিভিন্ন জেলাতে। এরইমধ্যে নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ পেয়ে বেলা ১ টা নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বোথ পরিদর্শনে বেরন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন,সকাল থেকে ৬৩ টি অভিযোগ করেছেন তারা নির্বাচন কমিশনের কিন্তু তার স্বত্তেও নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ,”এখানে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট পড়ে গিয়েছে৷ আমরা কোর্টে যাব, লিগাল অ্যাকশন নিচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র কথায় কাজ করছে৷ ওরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে কাজ করছে৷ বাইরে সব হিন্দিতে কথা বলছে৷ এরা কেউ বাংলার নয়, বাইরের লোক৷”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ওই বুথে পৌছানোর পরে তাঁর সামনে কার্যত ইঁট নিয়ে তিনি যায় কোন মূল কর্মী সমর্থক ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মাঠের দুপ্রান্তে বাস লাঠি নিয়ে জড়ো হয়ে যান এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বুথের মধ্যে বসে থাকা অবস্থাতেই রাজ্যপালকে এই পরিস্থিতি নিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। এরপর নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী প্রায় ১৫মিনিট কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নিজের সমস্ত অভিযোগের কথা খোলাখুলি জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নিজের এবং এলাকাবাসী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরেই বুথ ছেড়ে বেরোতে রাজি হন মমতা। প্রায় এক ঘন্টা ৫২ মিনিট বয়ালের ৭ নম্বর বুথে বসে থাকার পর আইটিবিপি জওয়ানদের ঘেরাবেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে বুথ থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়ির দিকে অগ্রসর হন তিনি।