টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবল বর্ষণ সংক্রান্ত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অসমে ইতিমধ্যেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।অন্যদিকে, কেরালার ৪টি জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। একইসঙ্গে, কর্ণাটকে আগামী দু’দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বন্যার কারণে অসমে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ২৭টি জেলায় ৬.৬২ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক ২.৮৮ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র নগাঁও জেলার। কাছাড়ে ১.১৯ জন, হোজাইতে ১.০৭ লক্ষ, দারংয়ে ৬০ হাজার ৫৬২ জন, বিশ্বনাথে ২৭ হাজার ২৮২ জন, উদালগুড়ি জেলায় ১৯ হাজার ৭৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বন্যার জলে তলিয়ে গেছে ৪৬ হাজার ১৬০ দশমিক ৪৩ হেক্টর ফসলি জমি।
প্রবল বন্যায় ইতিমধ্যেই অসমের বেশ কয়েকটি স্টেশন প্লাবিত হয়েছে, ট্রেন উল্টে গেছে এবং ট্র্যাক উপড়ে গেছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীদের এয়ারলিফট করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে অসমের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের ফলে ট্র্যাকের নীচে মাটি ডুবে যায়। যার ফলে ট্রেন উলতে যায়। অনেক স্টেশনের ট্র্যাক এখনও কাদা এবং জলে মগ্ন হয়ে রয়েছে। ডিটোকচেরা রেলপথে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তাদের এয়ারলিফট করে বের করে আনা হয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী অসমের বন্যা কবলিত জেলাগুলি থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৫৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, বেঙ্গালুরু সহ বহু জেলায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। প্রবল বর্ষণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২ শ্রমিকের। কর্ণাটক আবহাওয়া বিভাগের প্রধান ডঃ গীতা অগ্নিহোত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “১৯ থেকে ২২ মে পর্যন্ত পুরো কর্ণাটকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷’’ ইতিমধ্যেই কেরালার একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।