রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে ইসলাম বিদ্বেষ মোকাবিলার ডাক

ছবি সংগৃহীত, প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: এ বছর ১৫ মার্চ বিশ্বে প্রথম পালিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষ মোকাবিলা দিবস। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হল, কঠোর হাতে ইসলাম বিদ্বেষ দমন করার জন্য। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরাস এই নিয়ে আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ বৈঠকে বলেন, বিশ্বে ২০০ কোটি মুসলিম বৈচিত্রের মধ্যেও নিজেদের ধর্মীয় সংস্কৃতি বজায় রেখে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, তাদের কখনও কখনও হিংসা বিহেষের শিকার হতে হচ্ছে। আর এই বিদ্বেষ শুধুমাত্র তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ধর্মীয় পরিচয়ের জন্যই। এই ইসলামফোবিয়া কখনও মেনে নেওয়া যায় না। মুসলিম মহিলাদের বিভিন্ন স্থানে হেনস্তা হতে দেখছি। এটা কঠোর হাতে দমন করার সময় এসেছে।

কোনও সাময়িক বা তাৎক্ষনিক কোনও ঘটনা নয়, এটা একশ্রেণির নব্য নাৎসি আধিপত্যকামী ও বর্ণবিদ্বেষীদের পরিকল্পিত চক্রান্ত। তারা মুসলিম ও সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের সহজেই টার্গেট করছে। তাই বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে। কেন না, ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাষ্ট্রসংঘের পলিশির অন্তর্গত। এই বিদ্বেষ দূর না করতে পারলে, শান্তি, সুরক্ষা এ মানবাধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

রাষ্ট্রসংঘে ইসলামফোবিয়া নিয়ে বৈঠকের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মুসলিম দেশসহ বহু দেশের প্রতিনিধিরা। অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের অধ্যক্ষতা করে পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্ট জারদারি এই বৈঠকের উদ্বোধন করার পর সউদি আরব ও তুরস্ক অত্যন্ত কঠোর ভাষায় ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা রাখেন। ১৫ মার্চ ইসলাম বিশ্বের মোকাবিলা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে শান্তির বার্তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সব বক্তাই একমত যে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম মহিলা, মসজিদ ও পবিত্র কুরআনের উপর যেভাবে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বিশ্ববাসীর সামনে ইসলামের শান্তি ও মানবিকতার পয়গাম তুলে ধরতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাষ্ট্রসংঘে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, প্রতি বছর ১৫ মার্চ ইসলাম বিদ্বেষ মোকাবিলা দিবস হিসেবে পালন করা হলে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। ইসলাম বিদ্বেষ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের উপরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রসংঘের এই বৈঠকে সউদি আরব ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের কঠোর মন্তব্য ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। এই দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানানো হয় রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকেও।