রাজ্য

নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে মালদায় কেন্দ্রীয় মানব অধিকার কমিশন এর প্রতিনিধি দল

নিজস্ব সংবাদদাতা,টিডিএন বাংলা,মালদা : নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাস কবলিত মালদার গাজোল থানার রানীগঞ্জ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেনবোনা গ্রামে পৌঁছান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সাথে কথা বলেন। এরপর সোজা চলে আসেন গাজোল থানায়। পরবর্তী সময়ে কোনো সন্ত্রাস হলে এর জন্য দায়ী থাকবে গাজোল থানার পুলিশ বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আতিফ রশিদ। তিনি বলেন যে সকল মানুষ আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিল আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে সব তা বোঝার চেষ্টা করলাম বাকিটা রিপোর্টে আদালতের পাঠিয়ে দেবো।
গাজলের কেনবোনা গ্রাম নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ওই গ্রামেরই বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ন মন্ডল তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরই এলাকায় তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয় তাদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে। মহিলাদের হেনস্থা করে। অনেকেই বেশ কিছুদিন গ্রামের থাকতে পারেনি।
পাল্টা নারায়ন মন্ডলের পরিবারের লোকেরা বলেন, আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় নারায়ন দলবদল করার পর। তার স্ত্রী ও তার মাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বিজেপিরা । সেই সময় মত পুলিশ না আসতো সবাই প্রাণে মারা যেতাম।
বিজেপি নেতা মিলন দাস জানান, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল দলীয় নেত্রীর নির্দেশে আমি গ্রামে এসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি আমাদের কর্মীদের সাথে তাদের কথা বলিয়েছি।
পাল্টা যুব তৃনমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন,মালদায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কোনো সন্ত্রাস হয়নি। এখানে আমাদের কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছে। জাতীয় মানব অধিকার কমিশন একবার তাদেরও খোঁজ নিলো না উল্টে বিজেপির নেতারা।
এছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মালদা সার্কিট হাউসে, অন্যান্য জায়গা থেকে যারা অভিযোগ করেছিলেন তাদের সাথে কথা বলেন।

Related Articles

Back to top button
error: