দীর্ঘদিন পর আমফান দূর্গতদের জন্য ত্রাণ কেন্দ্রের, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে কটাক্ষ ওয়েলফেয়ার পার্টির

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঘোষিত আর্থিক সহায়তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও বিলম্বিত অপ্রতুল দান বলে তীব্র সমালোচনা করলেন ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি মনসা সেন। এক বিবৃতিতে পার্টির রাজ্য সভাপতি মনসা সেন বলেন,

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ পরবর্তী লকডাউন চলাকালীন সময়কালে গত মে মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আকাশ পথে আমফান দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার দূর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ১,০০০ কোটি টাকার একটি আপদকালীন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু, বাস্তব ক্ষয়-ক্ষতির হিসাবে ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাবী অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের পক্ষ থেকে এক লক্ষ কোটি টাকার একটি আর্থিক প্যাকেজের দাবী করা হয় এবং দূর্যোগের ৬ মাস পরে সম্প্রতি এই ২৭০৭.৭৭কোটি টাকা সহায়তা দানের একটি ঘোষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে করা হল ।

এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি শ্রী মনসা সেন বলেন, ‘আমফান দূর্গতদের প্রকৃত কল্যাণের কথা না ভেবে বহু বিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে যৎসামান্য টাকার আর্থিক সহায়তা রাজ্যের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে তা স্পষ্টত:ই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রাজ্যে রাজনৈতিক ফায়দা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই করা হয়েছে। লকডাউন পরবর্তী কালে আমফান বিদ্ধস্ত এলাকার মানুষগুলি ত্রাণহীন, নিরন্ন অবস্থায় কিভাবে দিন গুজরান করছেন তার বিষয়ে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে এই যৎসামান্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে কেন্দ্র সরকারের এতোটা সময় নেওয়া উচিৎ ছিল না।” মনসা সেন আমফান দূর্গতদের ত্রাণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, “কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তার বাইরেও রাজ্য সরকারের দূর্যোগ মোকাবিলা তহবিলের অধীনে দূর্গতদের জন্য দ্রুততার সাথে ও স্বচ্ছ ভাবে যতটা ত্রাণ কার্য হওয়ার কথা ছিল, তা চোখে পড়েনি। এলাকা ভিত্তিক ক্ষয়-ক্ষতির দ্রুত পরিসংখ্যান তৈরী করে কেন্দ্রের থেকে অনুদান আদায়ের ক্ষেত্রেও এই রাজ্য সরকার দারুণভাবে ব্যর্থ। এর মূল কারণ, তৃণমূল দলের নীচু স্তরের কর্মীদের দূর্নীতিপরায়ণতা, লুঠপাটের মানসিকতা এবং প্রশাসনিক দূর্নীতি ও গড়িমসি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “রাজ্যের আমফান দূর্গতদের ত্রাণের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে যে সার্বিক দূর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে, আগামীতে তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক হতে হবে । দূর্গতদের সহায়তার নামে লুঠ ও ঘৃন্য রাজনৈতিক চক্রান্ত, কোনওটাই আর বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না ।”