HighlightNewsরাজ্য

পূর্বের উত্তীর্ণদের নিয়োগ না করে আবার টেট নিলে আত্মহত্যা করার হুমকি ম্যাসেজ পর্ষদ সভাপতিকে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: পূর্বে যারা প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অথচ এখনও পর্যন্ত তাদের নিয়োগ করা হয়নি। তাদেরকে আগে নিয়োগ করতে হবে তারপর নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। তা না করে আবার টেট পরীক্ষা নেওয়া হলে আত্মহত্যা করাবো। আর তার জন্য দায়ী থাকবেন পর্ষদ সভাপতি ও রাজ্য সরকার। এমনই হুমকি দিয়ে ম্যাসেজ আসছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নবনিযুক্ত সভাপতি গৌতম পালের কাছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পর্ষদের অ্যাড-হক কমিটির বৈঠকের কথা সামনে আসতে শুরু হয়েছে এই ধরণের প্রতিক্রিয়া।

এছাড়াও শনিবার সকাল থেকেই সারাদিন ধরে একের পর এক ফোন এসেই চলেছে চাকরি প্রার্থীদের। কেউ বলছেন, ‘স্যার প্লিজ, টেট নেবেন না।’ কেউ বলছেন, ’স্যার শুনলাম আপনি টেট নিচ্ছেন! কেন নিচ্ছেন? আগে আমাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করুন।’ কেউ আবার মানসিক অবসাদের কথা জানিয়ে দিচ্ছেন আত্মহত্যার হুমকি। চাকরিপ্রার্থীর পরিচয় দেওয়া বেনামি ব্যক্তিদের ‘অন্যায় আব্দার’ ও হুমকিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর কথায়, “মুহূর্মুহু ফোন আসছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ফোন ধরেছি পরপর। আমি ওদের বলেছি, আমায় সবার স্বার্থ দেখতে হবে। তোমাদের দিকটাও দেখব। তবু ফোন আসা থামেনি। আর অচেনা নম্বরের ফোন ধরিনি। তারপরেও সারাদিন ধরে অনবরত ফোন করে যাচ্ছে। আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মেসেজ আসছে।”

পাশাপাশি তিনি অতিষ্ট হয়ে সাবধানবানী শুনিয়ে বলেন, “এরকম মেসেজ দেওয়াটা ঠিক নয়। আর ওরা স্পষ্ট বলছে, টেট বন্ধ করুন! ওরা বললে তো টেট বন্ধ হবে না। আমায় সবার স্বার্থে কাজ করতে হবে। তাও ওরা উত্যক্ত করছে। হুমকি দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমি কঠোর হতে এবং ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। প্রশাসনকেও জানাব।”

এদিকে আত্মহত্যার হুমকি মেসেজ লেখা ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী আবিদ হাসান সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, “আমি এই মুহূর্তে প্রচুর মানসিক অবসাদে আছি। খবরটা শোনার পর থেকে মাথা ঘুরছে। আমাদের ব‌্যাপারে তো কিছু বলছে না! আমার উপর গোটা সংসারের দায়িত্ব। আমি ভিতর থেকে পুরো মরে গিয়েছি, ভেঙে পড়েছি। এ রকম চলতে থাকলে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করতে হবে। স্যারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারিনি। বলতে পারলে হয়তো আশ্বস্ত হতে পারতাম।”

Related Articles

Back to top button
error: