HighlightNewsদেশ

আজই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘অশনি’, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষিজমি, সতর্কতা জারি রাজ্য সরকারেরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আজই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সন্ধ্যার মধ্যেই পরিণত হতে চলেছে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে। আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র যে গতিপথ তাতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনই সংকেত দিয়েছে রাজ্য আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান দুপুর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের ওপর বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৪০ কিমি দূরে ও পুরী থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল। আজ রাত থেকেই এই ‘অশনি’ ঝড় দ্রুত গতিতে এগোতে শুরু করবে। ১০ তারিখ রাতেই সে বাঁক নেবে উত্তর-পূর্ব দিকে। তারপর ওড়িশা উপকূলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবেই এগোবে। তবে ওড়িশার স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। যদিও সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। স্থলভাগের খুব কাছে চলে আসার কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে ওতি ভারী বৃষ্টি হবে।

আবহাওয়াবিদদের দাবি, আগামী ১০ তারিখ থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। ১১ ও ১২ মে ওই দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ১০ থেকে ১২ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। মত্‍স্যজীবীদের শুক্রবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আগেই। এবার কৃষকদের জন্য ছ’দফা সতর্কতা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামী কয়েকদিন দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো পর্যটকপূর্ণ রাজ্যের সৈকতগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে যাতে কোনও পর্যটক সমুদ্রে না নামেন। বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তত্‍পর হয়ে উঠেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঝড়খালি কোস্টাল থানা ও গোসাবা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে সচেতন প্রচার।

নবান্নের তরফে কৃষকদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যে। এর ফলে কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নষ্ট হতে পারে ফসলও। এই কারণে আগেভাগেই পাকা ধান কেটে গুদামজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। আম, লিচু, আখ, পেঁপে, কলা জাতীয় যে সমস্ত ফলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ডাল চাষের জমি থেকে জমা জল দ্রুত বের করার ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

Related Articles

Back to top button
error: