HighlightNewsদেশ

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ABCD ফর্মুলা বিজেপির স্ট্রাটেজি, নির্দেশ শাহের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে বিজেপিতে একের পর এক ধ্বস। তবে পাত্তা দিতে নারাজ দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ। জাতপাতের সমীকরণের কথা মাথায় রেখে ভোট প্রচারের বার্তা শাহের।

সূত্রের খবর অমিত শাহ বার্তা দিয়েছেন ‘এবিসিডি’ অংকের কথা। ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। এ এর অর্থ আতঙ্ক। বি মানে ভাই ভাতিজা বাদ, সি মানে করাপশন আর ডি মানে দাঙ্গা। শাহের দাবি, এবিসিডি নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশের শাসন করে গেছে বছরের পর বছর। যার জেরে ভেঙে পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা, শিল্প, চিকিৎসা পরিকাঠামো। তার বদলে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমজনতার কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিলেই কার্যসিদ্ধি হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস শীর্ষস্তরের।

৩ জন প্রভাবশালী দলিত নেতা পদত্যাগের পর জাতপাতের সমীকরণ চিন্তায় ফেলে বিজেপির শীর্ষ স্তরকে। এমনিতে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন জাতের ভোটারদের মধ্যে প্রভাবশালী হলেন ব্রাহ্মণ, ঠাকুর, বৈষ্ণব, যাদব, মৌর্য, কুর্মি, নিশাদ, লোধি শ্রেণীর ভোটাররা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হিসেবে রাজ্যের পশ্চিমাংশে মুসলিম ভোট ২৯%, জাটভ ভোট ১২%। আবার পূর্ব উত্তরপ্রদেশে যাদব ভোট ১০%। কুরমি ভোট ৮%। মধ্য উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণ ভোট ১৩%। জাতপাতের ভোটারদের প্রভাবিত করার সময় সমীকরণকে মাথায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন শাহ।

উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণ ভোট নিয়ে এবার বেশ কাড়াকাড়ি হবে। রাজ্যের মোট ভোটের ৯% ব্রাহ্মণ ভোট। ২০০৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মোট ব্রাহ্মণ ভোটারদের মধ্যে ৪০% বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে এই ভোটের পরিমাণ কমে হয় ৩৮%। ২০১৭ তে রাজ্যের মোট ব্রাহ্মণ ভোটের ৮০% গেরুয়া শিবিরের ভাগে যায়। যাবতীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ২৩ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রচার শুরু করতে চলেছেন অমিত শাহ। ৪০৩টি আসনেই তিনি পরিক্রমা করবেন বলে সূত্রের খবর।

Related Articles

Back to top button
error: