টিডিএন বাংলা ডেস্ক : টানা ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। রাত ৮টার কিছু আগেই এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লাকাণ্ডে দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। জেরার মুখ থেকে বেরিয়ে মন্তব্য, ‘সব উত্তর দিয়েছি।’
সকাল ১১টায় ইডির দফতরের পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ। বেরলেন যখন, তখন প্রায় রাত ৮টা।সকাল থেকে চলা ম্য়ারাথন জেরা পর্বের পর অভিষেক ইডি অফিসের বাইরেই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। সেখানেই তিনি বললেন, বিজেপির দিন শেষ হয়ে আসছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি যত করবে ততই ধ্বংসের দিকে এগোবে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, ইডি-র সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। লিখিত জবানবন্দিও দিয়েছি। প্রতিহিংসার রাজনীতির কাছে মাথা নত করব না। এরপরই দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিয়ে তিনি জানালেন, আমরা সেই সমস্ত রাজ্য়ে যাবো, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। আমরা বিজেপি-কে ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে ছাড়ব। ওরা সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স যত কেন্দ্রীয় সংস্থা আছে কাজে লাগাক। আমি ভয় পাই না। আমি মাথা নত করব না। মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। সাংসদের দাবি, ১০ পয়সার দুর্নীতি প্রমান করতে পারলে তিনি ফাঁসিতে ঝুলে পড়বেন।
সাংসদের জন্য চোখা চোখা প্রশ্নমালা তৈরি করেছেন ইডিকর্তারা।সম্প্রতি শোনা যায় বিনয় মিশ্রের সঙ্গে অভিষেকের যোগাযোগের কথা। সূত্রের খবর, এ দিন অভিষেককে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় বিনয় মিশ্র এখন কোথায়? তাঁর সঙ্গে কি ব্যবসায়িক কোনও সম্পর্ক ছিল? বিনয় মিশ্র লন্ডনে আছেন কীনা, তাও জানতে চাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁকে। জেরাতে উঠে এসেছে বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রর কথাও। অনুপ মাঝি ওরফে লালার হিসেব রক্ষক নীরজ সি- এর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। দেশে এবং বিদেশে বিদ্যমান অভিষেকের সম্পত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
সূত্রের খবর, অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর কিছু আয়ের কথা জানতে পেরেছে ইডি। এই সংস্থার মালিক হলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা এবং মা। ইডি সূত্রে খবর, সমাজবিরোধীদের কাছ থেকে নিরাপত্তার টাকা আসার হিসেবে এসেছে। এ ছাড়া অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যালিকা মানেকা গম্ভীরের অ্যাকাউন্ট এবং থাইল্যান্ডের লন্ডন (বার্কলেজ ব্যাঙ্ক) অ্যাকাউন্ট সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।