টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসে সরকারের মতে মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখ হলেও প্রকৃতপক্ষে ৫০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলনের সময় ৭০০ জনেরও বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা সহ বিরোধী দলগুলি। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সংসদে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানিয়েদেন, কৃষক আন্দোলনে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও তথ্য নেই তাঁদের কাছে। এ প্রসঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রশ্ন, “কেন্দ্র কীভাবে বলতে পারে যে তাদের কাছে এটির কোনও রেকর্ড নেই?”। তিনি আরও বলেন “যদি সরকারের কাছে ৭০০ জনের রেকর্ড না থাকে, তাহলে মহামারীর সময় তারা কীভাবে লাখ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। গত দুই বছরে কোভিড-১৯-এর কারণে ৫০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে কিন্তু সরকারের মতে, ভাইরাসের কারণে মাত্র চার লাখ মানুষ মারা গেছে।”
কেন্দ্রে সরকারের আনা বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদ দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হলে অবশেষে কেন্দ্র সরকার বাধ্য হয়ে সেই আইন বাতিল করে। কিন্তু এই আন্দোলন করতে গিয়ে বহু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে। যদিও কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্য নেই কৃষিমন্ত্রকের কাছে। ফলে কোনওরকম অনুদানেরও প্রশ্নও ওঠে না।”
অবশ্য ইতিপূর্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর বিষয়েও এমনই উদাসীনতা দেখিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেবারও তারা জানিয়েছিল তাদের কাছে নাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর কোনও তথ্য নেই।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এক প্রশ্নের উত্তরে দাবি করেন, ‘‘ আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্র ধারাবাহিক ভাবে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে।’’ বিরোধীরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-র প্রসঙ্গ তুললে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইস (সিএসিপি)-এর সুপারিশ অনুযায়ী রবি এবং খরিফ মরসুমে ২২টি অর্থকরী ফসলের ন্যূনযতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই মতো কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংস্থা কৃষকদের থেকে ফসল সংগ্রহ করে থাকে।”