সমীক্ষা বলছে, ৩৩% ভারতীয় মুসলিম হাসপাতালে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হন

প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সমীক্ষায় দেখা গেছে, আদিবাসী থেকে উত্তরদাতাদের ২২%, বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী থেকে ২১% এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ১৫% মানুষ হাসপাতালে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। দেশের প্রায় ৩৩% মুসলিম হাসপাতালে শুধুমাত্র ধর্মের কারণে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছেন বলে অক্সফাম ইন্ডিয়া নামের একটি এনজিও’র সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই সমীক্ষায় ২০১৮ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক প্রণীত রোগীদের অধিকারের চার্টার কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তা মূল্যায়ন করার জন্য করা হয়েছে।ওই সমীক্ষার বরাত দিয়ে স্ক্রল ডট ইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৩ হাজার ৮৯০ জন এই জরিপে অংশ নিয়েছিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, উপজাতি থেকে উত্তরদাতাদের ২২%, বিভিন্ন জাতি থেকে ২১% এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর ১৫% মানুষ হাসপাতালে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন৷

অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার ‘অসমতা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা’ প্রধান অঞ্জেলা তানেজা বলেন, ‘চিকিৎসকরা সমাজের বাকি অংশের মতো একইভাবে পক্ষপাতিত্ব করছে। অস্পৃশ্যতা এখনও বাস্তব, তাই, ডাক্তাররা কখনও কখনও রোগীর নাড়ি পরীক্ষা করার জন্য একজন দলিত ব্যক্তির হাত ধরতে অনিচ্ছুক। একইভাবে, চিকিৎসকরা আদিবাসীদের রোগ নির্ণয় এবং তাদের চিকিৎসা করতেও অনিচ্ছুক।’ তানেজা কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দিনগুলোতে তাবলিগ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মুসলমানদের লক্ষ্য করে তিক্ত মন্তব্যের কথাও বলেন।তিনি বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে সে সময়ে নিন্দিত করা হয়েছিল, যা চরম অন্যায়।’
সংবাদ সূত্র- আপনজন পত্রিকা