টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বাংলার জন্য বিজেপির কোনও ভাবনাচিন্তা, উদ্যোগ, আন্তরিকতা নেই অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়লেন এক সময় টলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী এক টুইটার বার্তায় বলেন, “BJP-র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। এই দলের জন্য আমি গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু, আমার মতে এই দলটি বাংলার মানুষের জন্য কিছুই করছে না। বাংলার জন্য তাদের কোনও ভাবনাচিন্তা দেখিনি। উদ্যোগ আর আন্তরিকতার অভাব চোখে পড়েছে। আর সেই কারণেই এই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” বেশ কিছুদিন থেকেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে খবর। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন মদন মিত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু অভিরূপ নাগ চৌধুরীও। দোলের দিনও গঙ্গাবক্ষে মদন মিত্র এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যদের সঙ্গে হোলি খেলতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবেও এটি অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। এবার শ্রাবন্তীর বিজেপি ছাড়ার ঘটনা আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শ্রাবন্তীর দলত্যাগ নিয়ে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়ায়, ‘‘শ্রাবন্তী স্বেচ্ছায় এসেছিলেন, আবার স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। তাঁর বিজেপি ত্যাগে দলের কোনও সমস্যা হবে না।’’ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, বিজেপি করলে টালিগঞ্জে কাজ পাওয়া দুষ্কর। আর সেই কারণেই শ্রাবন্তী দল ছাড়লেন। এছাড়া তথাগত রায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘ঘাড় থেকে ভূত নামল’। তবে আগামীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন কিনা ইতিমধ্যেই সেই জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। যদিও এবিষয়ে শ্রাবন্তী স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি।
উল্লেখ্য যে, বিধানসভা নির্বাচনের পুর্বে বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। এবারের বিধানসভা নির্বাচন বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও হয়ে ছিলেন তিনি। এমনকি দলে যোগ দিয়েই রাজ্যে পরিবর্তনের ডাকও দিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজনীতির জন্য অভিনয়ের কোনও ক্ষতি হতে দেবেন না। বিজেপিতে যোগ দিয়ে শ্রাবন্তী সেই সময় বলেছিলেন, “নতুন ভাবে পথ চলা শুরু। বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তিনি বলতেন রাজ্য নয়, তোকে দেশের জন্য কিছু করতে হবে। বাবার দেখানো আদর্শই পথ দেখাবে আগামী দিনে।”