১১৩ দিন পর ইন্দোনেশিয়ায় সাগর থেকে ১২০ রোহিঙ্গা উদ্ধার
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ প্রায় ১১৩ দিন ধরে সাগরের বুকে ভেসে বেড়ানোর অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার সাগর উপকুল থেকে প্রায় ১২০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনী। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের নিকটবর্তী নৌবন্দরের কাছে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আপাতত রাখা হয়েছে।
জানাগিয়েছে, একটি কাঠের নৌকায় চেপেই ওই রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিয়ে ছিলেন। অনেকেই দাবি করেছেন, কাঠের ওই নৌকাটিতে ফুঁটো দেখা দিয়েছিল এবং এর ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ইন্দোনেশিয়ার সাগর উপকুলে রোহিঙ্গাদের ওই নৌকাটি ভাসতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার দুরাবস্থার জন্য তাদের উদ্ধারকার্জে দেরি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া সরকার সূত্রে বুধবারই জানানো হয়েছিল, তারা নৌকাটির খারাপ অবস্থার কথা বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে স্থলভাগে নিয়ে আসবে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের আপাতত আসেহ প্রদেশের ক্রুয়েঙ গুকুহ বন্দরে রাখা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী রোহিঙ্গাদের বহনকারী কাঠের নৌকাটিকে অন্য একটি স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর পশ্চিম-বহরের কমান্ড মুখপাত্র কর্নেল লা ওদি এম হলিব বলেন, “উঁচু ঢেউ ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হয়েছে। রোহিঙ্গাবাহী ভাসমান নৌকাটিকে ধরতে ঘণ্টায় ৫ দশমিক ৭ মাইল পথ অতিক্রম করছিল নৌবাহিনীর জাহাজ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু পর নৌকাটিকে নিরাপদে ডকে ভেড়ানো সম্ভব হয়। ”
উদ্ধারের পর প্রবল বর্ষণের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ বাসে করে রোহিঙ্গাদের একটি সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যায়। কর্নেল লা ওদি এম হলিব জানিয়েছেন, “সব শরণার্থীদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।” আবহাওয়ার দুরাবস্থার জন্য এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে খবর।
স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের নেতা বদরুদ্দিন ইউনুস জানিয়েছেন, “বিরুয়েন বন্দর থেকে ৬০ মাইল দূরে সাগরে গত রোববার জেলেরা প্রথম নৌকাটিকে দেখতে পান। জেলেরা ওই নৌকার আরোহীদের খাবার, পানি ও পোশাক সরবরাহ করেন। নৌকাটিতে ৬০ নারী, ৫১ শিশু ও ৯ জন পুরুষ ছিলেন।” উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের থেকে জানাগিয়েছে, “তারা মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন; ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার এতদিন ধরে সাগরে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন।”