India vs Chin: ফের আগ্রাসী কার্যকলাপ শুরু চিনের, বাড়ছে উত্তেজনা! সীমান্তে ১০০টি কামান মোতায়েন করেছে চিন
টিডিএন বাংলা দেস্কঃ গালওয়ান সংঘর্ষের পর আবারও সীমান্তে আগ্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে পরবর্তী দেশ চীন। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলছে বেজিং। এবার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রায় ১০০টি রকেট লঞ্চার মোতায়েন করেছে লালফৌজ। হংকং-এর সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না পোস্ট’-এর একটি সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকার উঁচু জায়গাগুলিতে কমপক্ষে ১০০ টি ‘PCL-181’ হালকা হাউৎজার কামান মোতায়েন করেছে চিন। নতুন করে চিনের এই আগ্রাসী কার্যকলাপ এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অস্ত্র সম্ভার সংঘাতের সম্ভবনা নতুন করে আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অত্যন্ত হালকা ওজনের ও ট্রাকে বহনযোগ্য হওয়ার দরুণ চিনা কামানগুলিকে সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ১৫৫ মিলিমিটারের এই কামানগুলি প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গোলাবর্ষণ করতে পারে।
চিনা ফৌজকে পাল্টা জবাব দিতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে ট্যাংক এবং কামান মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাও। সংবাদ সংস্থা এনএনআই সূত্রে খবর, সীমান্তে আনা হয়েছে এম-৭৭৭ আলট্রা লাইট হাউৎজার। যা মুহূর্তের মধ্যেই শত্রুর ঘাঁটিকে নিশানা করতে প্রস্তুত। আবার হালকা ওজনের হওয়ার কারণে যেকোনো এলাকায় বহনও করা যায়। সঙ্গে আবার রয়েছে বোফর্স কামানও। উল্লেখ্য, এর আগে কারগিল যুদ্ধের সময় নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে এই কামান। কয়েকদিন আগেই তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অত্যন্ত কাছাকাছি চলে আসে চিনা ফৌজের একটি বাহিনী। তবে ভারতের সেনা তাদের আটকে দেয়। ফলে আবারও মুখোমুখি চলে আসে দুই দেশের ফৌজ। ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় তর্কাতর্কি, যা ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত গড়ায়। গত সপ্তাহে হওয়া এই সংঘাত চলে বেশ কয়েক ঘণ্টা। কিন্তু সঠিক সময়ে স্থানীয় কমান্ডারদের হস্তক্ষেপে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই হাতাহাতির ঘটনায় কোনও ভারতীয় সৈনিক আহত হননি।