HighlightNewsদেশ

সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই চিনে যাবেন, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে জানালেন অজিত ডোভাল

Ajit Dovalটিডিএন বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সাক্ষাতের পর অজিত ডোভাল জানিয়েছেন, লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেই উত্তেজনা কমবে। সেনা প্রত্যাহারের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে বৈঠক হয় অজিত ডোভালের। দুই দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা, এমনকি রাশিয়া – ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি চীনা বিদেশমন্ত্রী তরফে তাঁকে সে দেশে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হলে, তবেই তিনি চিনে যেতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চিনা বিদেশমন্ত্রীকে বলেছেন, অতি দ্রুত ভারতীয় ভূখণ্ডের বিভিন্ন অংশে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত করা সম্ভব হবে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে কারোরই লাভ হবে না। তিনি আরো বলেন, শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরে এলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতেও সাহায্য করবে।
এদিন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। এদিনের বৈঠক শেষে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘প্রগতিশীল’ অবস্থায় রয়েছে তবে, ‘কাঙ্খিত গতির থেকে খানিকটা ধীর’ লয়েই চলছে। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত চিন সীমানায় বর্তমান পরিস্থিতির কারণে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সাধারণ নয়। এদিন সংবাদমাধ্যমকে এস জয়শঙ্কর জানান, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে চিন সেনার ভারতে অনুপ্রবেশের কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কোনোভাবেই একটি সাধারণ সম্পর্কের মত হতে পারে না। শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সব বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে। তিনি আরো বলেন,”যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আজকের সম্পর্ক স্বাভাবিক কিনা তাহলে আমার উত্তর হবে না, এটা স্বাভাবিক নয়। আজ আমরা প্রচেষ্টা করেছি আমাদের সমস্যাগুলিকে সম্পূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলার।”
লাদাখের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এস জয়শঙ্কর আরো বলেন, বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি হয়েছে তবে লাদাখের এখনো বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ চলছে। তিনি বলেন,”আজ আমাদের আলোচ্য ছিল কিভাবে এই বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশাল আকারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে তাই এটা স্পষ্ট যে, সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।”
জানা গিয়েছে এদিনের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের সেনাবাহিনীর অবস্থান সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে এস জয়শঙ্কর জানান, পাকিস্তানের একটি অনুষ্ঠানে ওয়াংয়ের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যে ভারতের বিরোধিতার কোথাও এদিন তুলে ধরেন তিনি।

Related Articles

Back to top button
error: