টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য জনাব মোঃ আলী সাহেব তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে এই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তিনি তার ঘনিষ্ঠ মহলে এই কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে আলিয়ার ডিসির পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু কেন মুখ্যমন্ত্রীকে তার এই চিঠি এবং এই পদত্যাগ তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর সংঘাত ও মতপার্থক্য কমার বাদলের বেড়েই চলেছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম যথাযথভাবে করার জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এমএএমই দপ্তরের আধিকারিকরা তা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে দিচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে এমএএমই দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য হল উপচার্য আগের টাকার ঠিকমতো হিসাব দিতে পারছেন না। তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি ভিজিও ল্যান্স কমিশনও নিয়োগ করেছেন।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান বিষয়ে ও ভূগোল বিভাগের জন্য যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনেছিল তার টাকা বহুদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। ফলে বিক্রেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের ইতিহাস, অস্তিত্ব ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কে নিয়ে এক অনিশ্চয়তাও ডামাডোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যেন বিশ্বমানের হয়ে ওঠে। আর মুসলিম-হিন্দু সকল ছাত্র-ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার মাধ্যমে বাংলার সম্প্রীতিকে যেন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু বর্তমানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অদ্ভুত কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা্নের কাজকর্ম নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। সংবাদ সূত্র- পূবের কলম