রাজ্য

আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: কোভিডে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। সরকারের হাতে তেমন টাকা নেই। তাই কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই এ বার তুলোধনা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, সেন্ট্রাল ভিস্তা গড়তে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে কেন্দ্রের। প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিদেশ থেকে বিলাসবহুল বিমানও আসতে বাধা নেই। শুধু সাধারণ মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার টাকাই নেই সরকারের। তৃণমূলের দাবি, এ সব আসলে ভাঁওতা। মোদী সরকার সাধারণ মানুষের জন্য বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। শুধুমাত্র কর্পোরেটদের পকেট ভারী করাই তাদের লক্ষ্য।

সোমবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি-র সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। সদ্য জোড়াফুলে ফেরা মুকুল রায়, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের উপ দলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তাঁকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করায় মোদী সরকারকে একহাত নেন সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তারা কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। বলছে হাতে টাকা নেই। অথচ সেন্ট্রাল ভিস্তার জন্য ২০ হাজার কোটি খরচে অসুবিধা হচ্ছে না। সেখানে টাকা আছে।’’

অতিমারি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলের টাকা কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। ক্ষতিপূরণের প্রশ্নেও সোমবার সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকেই নিশানা করেন সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, ‘‘বিদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিলাবহুল বিমান আনতে টাকার সমস্যা হচ্ছে না। নতুন সংসদভবন গড়ার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। সংস্কার করে নিয়ে কাজ চালানো যেত। ব্রিটেনে তো তিন-তিন বার আগুন লেগে সংসদ ভবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও নতুন সংসদ ভবন গড়েনি তারা। সংস্কার করে সেখানেই কাজ চলছে। জাপান, আমেরিকাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। অথচ এখানে তার উল্টোটা ঘটছে।’’

Related Articles

Back to top button
error: