HighlightNewsদেশরাজ্য

মহুয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সুবিধা নিয়ে সাংসদে আদানির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও লোকসভার ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে অবৈধ সুবিধা ও দামি উপহার নিয়ে সংসদে আদানি গোষ্টির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ও লোকসভার ওয়েবসাইটের লগইন পাসওয়ার্ড অন্যান্য ব্যক্তিদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে, প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত চেয়েছে। আর এক ব্যবসায়ী বন্ধু দাবি করলেন, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁকে ব্যবসায়িক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে অন্যায্য সুযোগ নিয়েছেন। মহুয়ার আবদার ও বায়নাক্কা মেটাতে গিয়ে তাঁকে অতি দামি উপহার, বিদেশে ছুটি কাটানোর খরচ, দিল্লির বাংলো মেরামত করে দেওয়া থেকে শুরু করে কত যে দিতে হয়েছে ইয়ত্তা নেই। মহুয়ার এই ব্যবসায়ী বন্ধু হলেন মুম্বই ও দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী তথা শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানি। মহুয়ার বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে যে অভিযোগ করেছেন, তা যে আঠারো আনা সত্য তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন দর্শন। একটা হলফনামায় দর্শন বলেছেন, লোকসভার ওয়েবসাইটের লগ-ইন পাসওয়ার্ড মহুয়া তাঁর সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। মহুয়ার হয়ে লোকসভার ওয়েবসাইটে তিনিই গৌতম আদানি ও আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন পোস্ট করেছেন।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র লোকসভায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রশ্ন করেছেন। অর্থাৎ টাকা ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। তাই তাঁর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নিশিকান্ত। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার এথিক্স কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। ২৬ অক্টোবর কমিটি তলব করেছে নিশিকান্ত ও মহুয়ার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জয় অনন্ত দেহাদরাইকে।

সন্দেহ নেই মহাপঞ্চমীর সন্ধেয় দর্শন হীরানন্দানির এই হলফনামা মহুয়াকে বড় চাপে ফেলে দিল। মহুয়া অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনও টুইট করেননি বা প্রতিক্রিয়া দেননি। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, দুটি ভয়ঙ্কর অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে। এক, অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা। এবং দুই, লোকসভার লগ ইন ক্রেডেনশিয়াল কোনও ব্যবসায়ীকে দেওয়া এবং তাঁর মাধ্যমে প্রশ্ন পোস্ট করা। এটা সংসদের স্বাধিকার ভঙ্গের সামিল। শুধু এই কারণেই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের জন্য দাবি উঠে যেতে পারে।

Related Articles

Back to top button
error: