সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ছেলে ও বৌমা

কৌশিক সালুই, টিডিএন বাংলা, বীরভূম:- সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলে ও বোমার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার আঙ্গারগড়িয়া গ্রামে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছেলে ও বৌমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয় ছেলের পুলিশি হেফাজত এবং বৌমার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও ছেলে ও বোমা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন মা অবৈধ মদের কারবার করত এবং বোন বহু পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত ছিল, দুই ঘটনার প্রতিবাদ করায় চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে মা বন্দনা দাস(৫৫) কে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছেলে রাহুল দাস ও বৌমা সৌমি দাস কে। গত ১০ ডিসেম্বর বন্দনা দাস বাড়িতে মারা যান। ছেলে মায়ের মৃতদেহ সৎকারের জন্য উদ্যোগ নিলে বোন ও মামার বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দেয়। ইতিমধ্যেই মামা গোপিবল্লভ দাস ভাগ্নে রাহুল ও তার স্ত্রী সৌমির নামে মহম্মদ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়। বুধবার ধৃত দুজনকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে রাহুলের সাতদিনের হেফাজত চাইলে বিচারকরা পাঁচদিনের মঞ্জুর করেন এবং সৌমির ১৪ দিনের জেল হেফাজত নির্দেশ দেন। রাহুলের বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং মায়ের একটি হোটেল ও নটকোনের দোকান আছে। রাহুল ও তার স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিল বাবা অসুস্থ হওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসে। বাবার নামে থাকা বাড়িটি সম্প্রতি রাহুল তার নামে লিখে নিয়েছিল। সে নিয়ে বর্তমানে বিবাদ চলছিল মা ও বোনের সঙ্গে। খুন না স্বাভাবিকভাবে মারা গিয়েছে ওই মহিলা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এরপর পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সিউড়ি আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী মোক্তাব হোসেন বলেন,” মা কে খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলে ও বৌমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে বিচারক ছেলের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ও বৌমাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। রাহুল ও তার স্ত্রী সৌমি বলেন,” মা বেআইনি মদের কারবার করত এবং বোন বহু পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। এই দুই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদের সূত্রপাত হয়। সেই কারণেই বোন মাসিদেরকের সঙ্গে নিয়ে চক্রান্ত করে আমাদের কে ফাঁসিয়েছে। আমরা কোনভাবেই মায়ের খুনের সঙ্গে জড়িত নয়”।