নূপুরের সঙ্গে বিজেপিরও লজ্জায় মাথা নত করে ক্ষমা চাওয়া উচিত, তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিজেপির বহিস্কৃত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা নবী মহম্মদ(সাঃ)কে অবমাননা করায় আজ দেশে অশান্তির আগুন জ্বলছে বলে নূপুরকে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। তাকে অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। সেই ঘটনায় এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বিরোধী নেতারা দাবি করেন, নূপুরের পাশাপাশি অবিলম্বে লজ্জায় মাথা নত করে দেশবাসির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপিরও। বিরোধীদের অভিযোগ, নূপুর শর্মা শুধুই একজন ব্যক্তি নয়। বরং পুরো বিজেপি দলটি ও তাদের পরিচালক আরএসএস-এর মদতেই সারা দেশে আজ ক্রোধ এবং ঘৃণার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘দেশে এই বাতাবরণ তৈরি করেছে শাসকদল। কোনও ব্যক্তিবিশেষ (নূপুর) ওই মন্তব্য করেননি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপি, আরএসএসের সম্মিলিত প্রয়াসে আজ ক্রোধ এবং ঘৃণার পরিবেশ দেশে। এটা ভারতবাসীর স্বার্থের বিরুদ্ধে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন করে কংগ্রেস। আমরা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখি। কিন্তু বিজেপি, আরএসএস যা করছে, তা আমাদের মতাদর্শের বিরুদ্ধে। ক্রোধ ও ঘৃণার সাহায্যে সমস্যার সমাধান হয় না।’’ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুধুমাত্র মুখপাত্র নন, সংগঠনেরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। দেশের সম্প্রীতি নষ্টের জন্য শাস্তি দেওয়া হোক।’’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও প্রায় একই কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, নূপুর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এই অজুহাত দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদন করেন তার আইনজীবী। কিন্তু আইনজীবীর এই আবেদন শুনেই ক্ষুদ্ধ হয়ে যান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। ক্ষুদ্ধ বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি হুমকির মুখে পড়ছেন, না কি তিনিই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন! তিনি দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন। আজ গোটা দেশে যা চলছে, তার পিছনে দায়ী একা এই মহিলা।’’