HighlightNewsদেশ

তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের মৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের!

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বুধবার সকালে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁরই বাড়ির একটি ঘর থেকে। তপন কান্দু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শীর এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে এখনও থমথমে পুরুলিয়ার ঝালদা। মৃতের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার অভিযোগ তুলেছে পুলিশের বিরুদ্ধেই। তাদের অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে দিনের পর দিন নিরঞ্জনের ওপর আসলে অত্যাচার করা হয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে বয়ান। মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বুধবার ঝালদা থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের দাদা। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া ওই সুইসাইড নোটে নিরঞ্জন লিখেছেন, ‘যেদিন তপনের হত্যা হয় সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি মাথা থেকে কোনওরকম বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু ওই ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বারবার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই সব আমি আর সহ্য করতে না পারার জন্য আমি এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম।’ যদিও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন তার তদন্ত হওয়া উচিত। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, নিরঞ্জন ছিলেন তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। পূর্ণিমার দাবি, তপনের মৃত্যুর পরেও তাঁর বাড়িতে যাতায়াত ছিল নিরঞ্জনের। এমনকি আত্মহত্যা করার আগেরদিনও এসেছিলেন নিরঞ্জন। নিশ্চয়ই পুলিশ চাপ দিচ্ছিল নিরঞ্জনকে। তা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন নিরঞ্জন। তিনি এই ঘটনার তদন্তেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ১৩ মার্চ বিকেলে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই সময় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন তিনি। কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে ছিলেন যাদব রজক, শেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণব, সুভাষ কর্মকার, প্রদীপ চৌরাশিয়া ও সুভাষ গড়াই নামে পাঁচ সঙ্গী। তাঁরা খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।

Related Articles

Back to top button
error: