HighlightNewsরাজ্য

রাহুল গান্ধীর নামে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিলেন এক বৃদ্ধা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভোটের বাক্সে ভোট না জুটলেও রাহুল গান্ধীর জন্য তথা কংগ্রেসের জন্য ভালোবাসা বোধ হয় এখনও কমেনি। দলের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়ে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য এনে দিতে পারেননি তিনি। তারপর সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সভাপতিত্ব ত্যাগ করেছেন। এমনকি, এরপরে বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও সভাপতিত্ব আর গ্রহণ করেননি। কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের বিশেষ করে জি২৩-র নেতাদের অনেকেই তাঁকে অপছন্দ করেন, কিন্তু তাতে কি, কংগ্রেস মানেই গান্ধী, আর যুব কংগ্রেসের হার্টথ্রব রাহুল গান্ধী এই তত্ত্বে বিশ্বাসীর সংখ্যা কংগ্রেসীদের মধ্যে নেহাত কম নয়। ২০০৪ সাল থেকে তিনি সাংসদ। অর্থাভাব তাঁর কোনোদিনই ছিল না। তবে ইদানীং, বিশেষত, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ফলাফলের পর তাঁর রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বইকি। সেই সমস্ত প্রশ্নের সপাটে জবাব দিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা। শুধুমাত্র গান্ধী পরিবার এবং রাহুল গান্ধীর উপর নিখাদ ভালোবাসার কথা জানিয়ে নিজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করলেন রাহুল গান্ধীকে।

সোমবার উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনের ওই বৃদ্ধা তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে হস্তান্তর করার জন্য জেলা আদালতের কাছে আর্জি জানান। সাধারণত রক্তের সম্পর্ক বা আত্মীয়দের নামে উইল করতে তো দেখাই যায়। তবে, ৭৮ বছর বয়সী পুষ্পা মুঞ্জিয়াল নামে ওই বৃদ্ধা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর চিন্তাভাবনাতে উদ্বুদ্ধ হয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেরাদুনের কংগ্রেস সভাপতি লালচন্দ শর্মার হাতে তাঁর করা উইল তুলে দিয়েছেন তিনি। বৃদ্ধার হাত থেকে ওই উইল গ্রহণ করার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে লালচন্দ শর্মা জানিয়েছেন,”ওই বৃদ্ধা আমাদের জানিয়েছেন, দেশের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। এই ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

দেরাদুনের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রশান্ত সিং-এর বাড়িতে ওই বৃদ্ধা রাহুলের নামে নিজের সম্পত্তির উইল করেন। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার সমস্ত সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। দেরাদুনের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন,”গান্ধী পরিবারের প্রতি তাঁর স্নেহের কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বর্তমানে মানুষ যেখানে সম্পত্তি নিয়ে মারামারি করতেও পিছপা হয় না, সেখানে পুষ্পাজি যে এই দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

Related Articles

Back to top button
error: