টিডিএন বাংলা ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ধর্মের প্রভাবে একদিকে যেমন লাগাতার বেড়ে চলেছে সংক্রমণের হার তেমনি বেশ কিছু রাজ্যে টিকার অভাবে রুদ্ধ হয়ে আছে ১৮ থেকে ৪৪বছরের টিকা করন প্রক্রিয়া। কোন কোন রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া গেলেও মিলছেনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। অধিকাংশ জায়গাতেই বেসরকারি টিকা কেন্দ্রগুলিতে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। একমাত্র ভরসা সরকারি টিকা করন কেন্দ্রগুলি। যদিও সেখানেও পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে দেশের টিকার ঘাটতি সামলাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা বন্টনের পরামর্শ দিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। একটি টুইট করে অমিত বলেন যে রাজ্যটি কার প্রয়োজন বেশি, তারাই আগে টিকা পাবে, বাকিদের অপেক্ষা করতে হবে। একই সাথে বিজেপি সরকারের টিকাকরণের প্রস্তুতিতে গাফিলতি প্রসঙ্গে বিরোধীরা যেভাবে লাগাতার মন্তব্য করে যাচ্ছেন তার পাল্টা জবাব দিয়ে অমিতের বক্তব্য, টিকা জ্যাম নয় যে, ইচ্ছে করলেই কেউ বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য রেহানা মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। করোনার সংকটে যখন দেশজুড়ে ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকার চলছে সেই সময় বিজেপির আইটি সেল-এর প্রধান অমিত মালব্য টিকাকে জ্যামের সঙ্গে তুলনা করে নেটাগরিকদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
বুধবার রাতে এপ্রসঙ্গে একটি টুইট করে বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালব্য লেখেন,”করোনা পরিস্থিতিতে যে সব দেশ একেবারে প্রথম দিকে নিজেদের টিকা তৈরি করতে পেরেছিল, তাদের মধ্যে ভারত ছিল অন্যতম। কিন্তু তখন বিরোধীরা নানা কথা বলেছিলেন, প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তাঁদেরই আরও টিকা চাই।”
তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিরোধী রাজনৈতিক দলনেতাদের কেন্দ্রের কাছে টিকা চাওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন অমিত মালব্য। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অমিতের মত, দেশের টিকা উৎপাদনের যা ক্ষমতা সেই অনুযায়ী, যে রাজ্যের বেশি প্রয়োজন তাকে আগে টিকা দেওয়া হবে এবং বাকিদের অপেক্ষা করতে হবে।