দারুণ খেতে হাড়িভাঙ্গা আম, হাসিনাকে ধন্যবাদ জনিয়ে চিঠি দিলেন আপ্লুত মমতা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী-সহ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই মত ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের। রবিবার দু’দেশের কর্তাদের উপস্থিতিতে ২৬০টি কার্টনবোঝাই হাড়িভাঙ্গা আম ভারতের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের আধিকারিকেরা।

হাড়িভাঙ্গার আমেই আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওপার বাংলা থেকে পাঠানো এহেন রসালো উপহার পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “শ্রদ্ধেয় হাসিনাদি, আপনার পাঠানো আম পেয়ে আমার খুব ভাল লাগছে। বাংলাদেশের রংপুর জেলার হাড়িভাঙ্গা আমের নাম আমি শুনেছিলাম, আগে কখনও খাইনি। আপনি এত আম পাঠিয়েছেন যে আমি দু’হাত ভরে বিলিয়েছি। ওই আমের মধ্যে আপনার যে স্নেহ এবং বাংলাদেশের যে সৌরভ মিশে আছে তাকে আমি সম্মান জানাই। আমি সত্যি আপ্লুত। শ্রদ্ধা নেবেন।”

রবিবার দুপুরে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের ‘নো ম্যানসল্যান্ডে’ উপহারের আমের প্যাকেট এসে পৌঁছয়। ভারতে নিযুক্ত কলকাতার প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মহম্মদ সানিউল কাদেরের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, জুনের শেষে ভুটানের রাজা লোটে শেরিংকে পাঠানো হাসিনার উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ২০০০ কেজি আম, কাঁঠাল-সহ মোট ১৫০ বাক্স মরশুমি ফল। আর এবার ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্য স্বরূপ আম এবং অন্যান্য ফল পাঠালেন হাসিনা।

বাংলাদেশে আমের যে নানা প্রজাতি পাওয়া যায় তার মধ্যে জগত জোড়া নাম রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আমের। সেই হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

অন্য আর এক বাঙালি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও এই আম পাঠিয়েছিলেন। হাসিনার এই উপহার পেয়ে খুশি বিপ্লব। তিনি ট্যুইট করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, বাংলাদেশের মাননীয়া পিএম শেখ হাসিনাজির উপহার পেয়ে আমি আপ্লুত। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হুসেন আজ হাসিনাজি প্রেরিত আম তুলে দেন। আমি বাংলাদেশের মাননীয়া পিএমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। মাননীয় পিএম নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী অটুট থাকুক, এই কামনাই করি।

রাজনীতির বাইরে হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুবই কাছের। প্রতি বছরই উপহার হিসেবে দুই বাংলার মধ্যে আম-ইলিশ-শাড়ি এসব আদানপ্রদান হয় উভয়ের মধ্যে। আমের মরশুমে এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।