টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা অর্পিতা ঘোষের। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বুধবার দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে জমা দেন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
২০১৯ লোকসভায় হারের পর, ২০২০ সালে রাজ্যসভার আসনে সাংসদ হিসেবে তৃণমূলের তরফে পাঠানো হয় অর্পিতা ঘোষকে। আচমকাই সেই পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের বালুরঘাট লোকসভা আসনে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন নাট্যব্যক্তিক্ত্ব অর্পিতা। কিন্তু ২০১৯ সেই আসনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। তারপরেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল।
রাজ্যসভার তরফে বুধবার অর্পিতা ঘোষের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হয়েছে ও ওই আসন খালি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো হবে অর্পিতা ঘোষকে তাই এই সিদ্ধান্ত খবর তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে। দলের একাংশের দাবি, সাংসদ হিসাবে অর্পিতার পারফরম্যান্স নেতৃত্বের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
সূত্রের খবর, শুধুই অর্পিতা নয়, তালিকায় রয়েছে আরও রাজ্যসভার সাংসদের নাম। তাঁর কাজেও খুশি নয় দল।
এখন এটাই দেখার অর্পিতার জায়গায় কাকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে তৃণমূল। সূত্রের খবর, দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন যশবন্ত সিনহা। কারণ সর্বভারতীয় স্তরে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পারেন একমাত্র এই প্রাক্তন বিজেপি নেতাই। তবে আবার দলে কোনও সর্বভারতীয় স্তরের নেতার যোগদান হলে তার জন্যও বরাদ্দ থাকতে পারে অর্পিতা ঘোষের আসন। তবে শেষ পর্যন্ত এই জল্পনাই সত্য হয় কীনা, এখন সেটাই দেখার।