HighlightNewsদেশ

“যতদিন মাদ্রাসা থাকবে, ততদিন শিশুরা ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হওয়ার কথা ভাবতে পারবে না”; মন্তব্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রবিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, মাদ্রাসার অস্তিত্ব শেষ করে দেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, তিনি আরো বলেন, যতদিন মাদ্রাসা থাকবে ততদিন শিশুরা ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার হওয়ার কথা চিন্তা করতে পারবে না। একইসঙ্গে, তিনি আরো বলেন, যদি আপনি শিশুদের ধর্মের সঙ্গে জড়িত শিক্ষা দিতে চান তাহলে ঘরে দিন, তার জন্য মাদ্রাসা থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য সব সময় সাধারণ শিক্ষার প্রসার করা।
রবিবার “পাঞ্চজন্য” ম্যাগাজিনের ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ওই অনুষ্ঠানে হায়দ্রাবাদের মৌলানা আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলরের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মাদ্রাসা সম্পর্কে শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়া শিশুরা পড়াশোনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এর প্রভাব তাঁদের ভবিষ্যতের উপর পড়ছে। শিক্ষা প্রদানের জন্য মাদ্রাসাকে উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যেতে পারে। বিজ্ঞান, গণিত, বায়ো-সায়েন্সের মত বিষয়গুলি শিশুদের শেখানো উচিত যাতে তারা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, অধ্যাপক হতে পারে। কিন্তু মাদ্রাসা শব্দটি যতদিন থাকবে ততদিন শিশুরা এগোতে পারবে না। তাদের যদি আগে থেকে বলা হয় যে তারা এখানে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হতে পারবে না তাহলে তারা নিজেরাই যেতে অস্বীকার করবে।
তিনি আরো বলেন, সবার কাছে আমার আবেদন শিশুদেরকে কোরআন শেখাতে হলে বাড়িতেই শেখান কারণ বাড়ির চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই। এর জন্য তাদের মাদ্রাসায় পাঠানোর প্রয়োজন নেই। ছোটবেলা থেকে শিশুদের সেখানে পাঠিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছেন। এটা তাদের মানবাধিকার লংঘন।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এই মন্তব্যের পর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ বলেন, মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা খুবই মেধাবী। তারা কোরআনের প্রতিটি শব্দ সহজে মুখস্ত করে ফেলে। এই মন্তব্যের জবাবে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার পাল্টা দাবি, সমস্ত মুসলমান প্রথমে হিন্দু ছিল। ভারতে কোনো মুসলমানের জন্ম হয়নি। ভারতে সবাই হিন্দু ছিল। তাই মুসলিম সন্তান যদি অত্যন্ত মেধাবী হয়,তা হিন্দুদের ঐতিহ্যের কারণে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অসম সরকার সমস্ত মাদ্রাসা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর এই বিষয়টি গুয়াহাটি আদালত পর্যন্ত পৌঁছয়।

Related Articles

Back to top button
error: