HighlightNewsদেশ

“দলিত যুবককে হত্যা ইসলামবিরোধী”, হায়দ্রাবাদের অনার কিলিং ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হায়দ্রাবাদের অনার কিলিং-এর ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। দলিত যুবককে হত্যা ইসলামবিরোধী বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন,”এই ঘটনা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম অপরাধ।” যদিও এই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে অন্য রং দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওয়াইসি।

প্রসঙ্গত, ধর্মের বিভেদ না মেনে “শৈশবের প্রণয়ী” হিসেবে পরিচিত হায়দ্রাবাদের নিবাসী গাড়ীবিক্রয়কর্মী বি নাগারাজু বিয়ে করেছিলেন সৈয়দা আশরিন সুলতানাকে। মাত্র তিন মাস আগে হওয়া তাদের এই বিয়ে মোটেও মানতে চায়নি সুলতানার পরিবার। সেই অমতের চরম মাশুল দিতে হয় নাগারাজু এবং সুলতানাকে। বুধবার সন্ধ্যায় হায়দ্রাবাদের একটি ব্যস্ত রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় নাগারাজুকে। লোহার রড দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় তার মুখের হাড়, মাথা। আর সেই সময়েও স্বামীকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা ক’রে আক্রমণকারীদের সঙ্গে লড়াই ক’রে যাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী সৈয়দ আশরিন সুলতানা। গোটা ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের ক্যামেরায়। আক্রমণকারীদের নিজের ভাই ও তার সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করেন আশরিন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “নাগারাজুর খুনের ঘটনায় ইসলামবিরোধী। মেয়েটি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন। আইনি স্বীকৃতিও ছিল। বোনের স্বামীকে খুন করার কোনও অধিকার নেই ভাইয়ের। যা হয়েছে তা অপরাধমূলক কাজ। ইসলামের দৃষ্টিতে ও জঘন্যতম অপরাধ।”

হায়দ্রাবাদের প্রকাশ্য রাস্তায় হওয়া এই ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রয়েছে সারুরনগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী গাড়ী বিক্রয় কর্মী বি নাগারাজুকে তার স্ত্রীর ভাই এবং আত্মীয়রা প্রথমে মারধর করে এবং পরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। বুধবার রাত প্রায় ৮:৪৫ নাগাদ ওই দম্পতি বাইকে করে বাড়ি থেকে বের হলে দুজন লোক তাদের থামিয়ে নাগারাজুকে বাইক থেকে টেনে নামিয়ে নিয়ে যায় এবং লোহার রড ও ছুরি দিয়ে লাগাতার তার ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে ঘটনাস্থলে দ্রুত লোকজন জমা হতে শুরু করলেও কেউ এই অতর্কিত হামলা থামানোর চেষ্টা করেন না। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই মোবাইল ফোন বের করে এই অপরাধের গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করেন।

ক্যামেরায় দেখা যায় খুব শীঘ্রই নাগারাজু প্রাণহীন হয়ে যান। তাঁর মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে এবং তাঁর স্ত্রী সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সুলতানা আক্রমণকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছেন যাতে তারা নাগারাজুকে আর একবার আঘাত না করতে পারে। এই সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীদের দিকে ছুটে যায় এবং তাদেরকে ধাওয়া করে। এই ঘটনার পর ওই হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে নিজের ভাই বলে শনাক্ত করেছেন সুলতানা।

Related Articles

Back to top button
error: