আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে হত্যার প্রচেষ্টা, নিহত সব হামলাকারী

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ মঙ্গলবার রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আবাসন এলাকা হঠাৎই প্রচন্ড বিস্ফারণের শব্দে কেঁপে ওঠে। এরপর ওই এলাকায় পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে চলতে থাকে গুলির শব্দ। এরই মধ্যে শুরু হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলার প্রচেষ্টা। যদিও হামলাকারীরা এই প্রচেষ্টায় সফল হয়নি। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিলে হামলাকারীদের সঙ্গে আফগান বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জোনের মধ্যে ঢুকে স্বয়ং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা প্রচেষ্টায় আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্রের দাবি, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং উচ্চপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা বাস করেন ওই এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুরুত্বপূর্ণ এবং নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে ঢুকে হামলার মাধ্যমে সরকারি বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, তালেবানের সঙ্গে হওয়া একটি চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন‍্যাটোজোট আফগানিস্তান থেকে তাদের বাহিনী অপসারণ করছে, এই পরিপেক্ষিতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। এ ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার তালেবান ও সরকারি বাহিনীর সদস্য। স্বাভাবিকভাবেই এই হামলায় তালেবানের হাত আছে বলে মনে করছে আফগানিস্তান প্রশাসন। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। আফগানিস্তানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “অভিযান শেষ হয়েছে। সকল হামলাকারী নিহত হয়েছে।একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে এবং মহল্লায় পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।” তবে প্রায় প্রতিদিনই তালেবানের সঙ্গে সরকারী বাহিনীর সংঘর্ষ লেগেই আছে। যা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চরম সংকটের মধ্যে ফেলেছে। ফলে অন্যান্য দেশের অভিবাসীরা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা ফিরে যাচ্ছেন নিজেদের দেশে। এ সংকটের সমাধান কোথায় ? উত্তরের খোঁজে চলছে আলোচনা ও সন্ধি স্থাপনের এ প্রচেষ্টা।