“ভিত্তিহীন কথাবার্তা, আমাদের সাথে কোনো সহানুভূতি নেই”; কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর চিঠির জবাবে পাল্টা চিঠি লিখলেন কৃষক সংগঠনের সদস্যরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশ্যে দুদিন আগেই আট পাতার একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সেই চিঠির জবাবে এবার পাল্টা চিঠি লিখে কৃষক সংগঠনের সদস্যরা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর মন্তব্য “ভিত্তিহীন”। এমনকি তাঁদের সাথে কেন্দ্রের কোনো সহানুভূতি নেই বলে অভিযোগ করেছেন কৃষক নেতারা।

কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনের সদস্যরা আজ সারা দেশজুড়ে আন্দোলন চলাকালীন মৃত কৃষক সঙ্গীদের স্মরণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের আন্দোলনকে আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এরই মাঝে গতকাল কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের লেখা কৃষকদের উদ্দেশ্যে চিঠির জবাবে কৃষক নেতাদের পাল্টা জবাব, তাঁদের আন্দোলন সার্বিকভাবে কৃষক আন্দোলন। এর সঙ্গে কোনো রকম রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। সরকারের উদ্দেশ্যে ওই চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকার যদি তাদের দাবিগুলো খতিয়ে দেখে, তাব তাহলে বোঝা যাবে দাবিগুলির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক নেই। বরং কৃষকদের দাবি তাঁদের আন্দোলন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে তাঁদের সমর্থন করতে বাধ্য করেছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশ্যে একটি আট পাতার খোলা চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। ওই দীর্ঘ চিঠিতে তিনি কৃষকদের জানান, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস সম্পর্কে সরকার লিখিতভাবে কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত।

নরেন্দ্র সিং তোমর লেখেন, ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক দলের এক মহল কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করছে। তার দাবি এই আইনে আদতে কৃষকদের সিংহভাগই খুশি। নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তোমর আরো লেখেন, আমি কৃষক পরিবার থেকে এসেছি। ছোটবেলা থেকে তাদের কষ্টসাধ্য জীবনের অংশীদার থেকেছি। নতুন কৃষি আইন কার্যকর হওয়ার পর এমএসপি সংগ্রহ রেকর্ড তৈরি করেছে।

বিরোধী দলের নেতাদের নাম উল্লেখ না করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আরও লেখেন, এমএসপি এবং মান্ডি ব্যবস্থা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এমএসপি এবং মান্ডি দুই থাকবে। কেন্দ্র তা লিখিত ভাবে জানাতে প্রস্তুত। গত ছয় বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকার কৃষকদের জন্য অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এই নতুন তিনটি আইনের মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের ফসল যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারবেন।

পাশাপাশি, মনমোহন সিংহের আমলে স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে বলেও লেখেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীদের অসন্তোষ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর এই চিঠিটি রিটুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশ্যে একবার ওই চিঠি পড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।