টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই ভিডিয়োটি সাহারানপুরের। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জেলের ভিতর বন্দীদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে আর সেই মারের চোটে পরিত্রাহি চিৎকার করছেন জেল বন্দীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যাঁদের পেটানো হচ্ছে তাঁরা বিক্ষোভকারী। তবে ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি টিডিএন বাংলা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লাঠি দিয়ে কয়েক জনকে পেটাচ্ছেন দুই পুলিশকর্মী। একের পর এক লাঠির ঘা পড়ছে তাঁদের পা এবং কোমরে। আর সেই মারের চোটে পরিত্রাহী চিৎকার করছেন তাঁরা। এই ভিডিয়োটি টুইট করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। ভিডিয়ো পোস্ট করে উত্তরপ্রদেশে লকআপে বন্দি মৃত্যুর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই আমরা করিনি।
ওই ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের কোতওয়ালি থানার। যাঁদের পেটানো হচ্ছে তাঁরা বিক্ষোভকারী। তাঁদের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করে অখিলেশ যাদব ট্যুইটারে লিখেছেন,”লকআপে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত। না হলে ন্যায়বিচার পাবে না ইকবালরা।” একইসঙ্গে, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অখিলেশ।
এপ্রসঙ্গে তিনি ট্যুইটারে আরো লেখেন,”লকআপে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ শীর্ষে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে এক নম্বরে। দলিত নিপীড়নেও শীর্ষে।”
ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরে সাহারানপুরের এসএসপি আকাশ তোমর দাবি করেছেন, এটি সাহারানপুরের ঘটনা নয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ভিডিয়োটি দেখিনি। তবে আমার জেলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। জানিও না এই ঘটনা কোথাকার। কী কারণে এই ঘটনা তা-ও জানা নেই। তবে এই ঘটনা কোথাকার তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও পুলিশকর্মী দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ২২৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।