বিক্রম-প্রজ্ঞানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ইসরোর, মিলছে না কোনো সাড়া

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আশার আলো নিভছে। অনেক ডাকাডাকির পরও উঠছে না চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan-3) ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে ভোরের আলো ফুটেছে। সোনা রোদ পড়েছে বিক্রম-প্রজ্ঞানের গায়ে। ১৪ দিন শেষে সূর্যের আলোয় আলোকিত হচ্ছে চাঁদের মাটি। কিন্তু তাদের ওঠার নাম নেই। পৃথিবী থেকে ডেকেই যাচ্ছে ইসরো। অ্যালার্ম বেজে কবে বন্ধ হয়ে গেছে। ঘুম আর ভাঙে না বিক্রম-প্রজ্ঞানের।

তবে কি কোমায় চলে গেল চন্দ্রযানের (Chandrayaan-3) বিক্রম-প্রজ্ঞান? ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদে ১৪ দিন রাতের শেষে দিনের আলো ফের জেগে ওঠার সম্ভাবনা ছিল ল্যান্ডার ও রোভারের। সূর্যের আলোয় ফের তাদের সোলার প্যানেল অ্যাকটিভ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু এখনও অবধি জেগে ওঠেনি তারা। আশার আলোর ক্রমশই ফ্য়াকাশে হচ্ছে।

২৩ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে যখন সফট ল্যান্ড করে বিক্রম ও প্রজ্ঞান তখন সবে চাঁদে ভোর হচ্ছে। সূর্যের প্রথম রশ্মি গায়ে পড়তেই চনমনে হয়ে ওঠে দুই সহোদর। তারপর গোটা ১৪ দিন (পৃথিবীর হিসেবে) অর্থাৎ এক চান্দ্রদিন টানা চাঁদের মাটিতে কাজ করেছে। কাজে কোনও ফাঁকি দেয়নি তারা। বরং প্রত্য়াশার থেকে বেশি কাজ করেছে। চাঁদের বুকে রাত্রি নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় ইসরো।

ল্যান্ডার (Chandrayaan-3) বিক্রমকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানোর আগে তার রিসিভারটিকে চালু রেখেছিল ইসরো। চাঁদে রাত কাটলে আবার যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তবে বিক্রম-রোভারের ঘুম ভাঙলেও তারা আগের মতো সক্রিয় হয়ে উঠবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিক্রম-প্রজ্ঞানের মৃত্যু হবে না। সূর্যালোকে ফের তাদের স্লিপ মোড থেকে অ্যাকটিভ করা যাবে। এখানেই ইসরোর বড় সাফল্য। এমনভাবেই বিক্রম আর প্রজ্ঞানের যন্ত্রপাতি তৈরি হয়েছে, এতটাই আধুনিক পদ্ধতিতে গড়েছেন বিজ্ঞানীরা যে ১৪ দিন নিষ্ক্রিয় থাকার পরেও জেগে উঠবে তারা। কিন্তু এখনও বিক্রম-প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানো যায়নি।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, “ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে কখন যোগাযোগ করা যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। জানি না, ওরা কখন জেগে উঠবে। হয়ত এমনও হতে পারে যে চাঁদে আঁধার নামার আগের দিনও ওরা সাড়া দিল। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি ল্যান্ডার এবং রোভার ফের জেগে ওঠে তাহলে সেটাই হবে ইসরোর অন্যতম বড় সাফল্য।”