অসম আন্দোলনের ৮ শহিদকে ‘ঘাতক’ বলে বিপাকে কংগ্রেস বিধায়ক

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দারাংয়ে উচ্ছেদের সময় অসম আন্দোলনের ৮ শহিদকে ঘাতক বলে বিপাকে কংগ্রেস বিধায়ক। উস্কানিমূলক, সাম্প্রদায়িক এই মন্তব্যের জন্য নিজের বাসভবন থেকে আটক হলেন শেরমান আলি আহমেদ। অসমের ঢোলপুরে সরকারি তরফে যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছিল, তাতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ যায় ২ জনের। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ১৯৮৩ সালের অসম আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিধায়ক। সেই সময় ঢোলপুরের সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাতে প্রাণ গিয়েছিল ৮ জনের। আহমেদের বক্তব্য, এই ৮ জন অসম আন্দোলনের নামে অনেককে মেরেছে। গ্রামবাসীরা ওদের ভয় পেত। নিজেদের বাঁচাতেই ওই ৮ জনকে খুন করেছিল বাংলাদেশি শরণার্থীরা।” অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে এই মন্তব্য মেনে নেয়নি কংগ্রেসও। নির্বাচনের আগে এই ধরনের মন্তব্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ করতে পারে। সেই বুঝে বাঘবরের তিনবারের বিধায়ককে শোকজ নোটিশ ধরায় কংগ্রেস। তার নামে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই আটক করা হয় আহমেদকে। রাজ্যে শরণার্থী সমস্যা সব রাজনৈতিক দলেরই মাথাব্যথা। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট। শুক্রবার তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা ২০৫০ এরমধ্যে শাসনক্ষমতা দখল করার ছক কষছে। তারাই ক্রমে অসমে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠছে বলে দাবি হিমন্তের। তার মতে, দারাংয়ে যে অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ উৎখাত করতে গিয়েছিল, সেই অনুপ্রবেশকারীরাও এই চক্রান্তের অংশ। বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা অবশ্য অন্য। তারা মনে করছেন, দারাংয়ে পুলিশি জুলুমের ঘটনায় হিমন্তের ভাইয়ের নাম জড়ানোতে অস্বস্তিতে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার জন্যই এমন কথা বলছেন তিনি।