টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অবৈধ জমায়েত, হামলা, সংঘাতের অভিযোগ আসছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আগরতলায় তাদের পোলিং এজেন্টের মাথা ফাটানোর তুলেছে তৃণমূল। বিলোনিয়ায় সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছে সিপিএম। ত্রিপুরায় মোট পুরসভার আসন সংখ্যা ৩৩৪টি। এর মধ্যে মোট ১৩টি পুর অঞ্চলের ৬৪৪টি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে ২৭৪টি বুথকে স্পর্শকাতর এবং ৩৭০ টি বুথকে অতিস্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে। ত্রিপুরার ভোটে লড়াই মূলত বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বামেদের মধ্যেই। ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১২টি শাসকদল বিজেপির দখলে আছে। পুর অঞ্চলগুলির বাকি ২২২টি আসনে ভোট হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ২২২টি আসনে লড়াইয়ে আছেন মোট ৭৮৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিজেপি-র ২২২, সিপিএমের ১৯৭, তৃণমূলের ১২০ এবং কংগ্রেসের ৯২ জন রয়েছেন।
হিংসার ঘটনা এড়াতে আদালতের নির্দেশে ত্রিপুরার সেনসিবিলিটি ম্যাপিং করেছিল কমিশন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে দু’টি আলাদা বিভাগে ভাগ করা হয়েছে তার ভিত্তিতেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিস্পর্শকাতর বুথে ৫ জন করে টিআরএস জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সমস্ত বুথেই ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকবে। ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও আগরতলার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বুথের সামনে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। অবশ্য এসডিপিও-র নেতৃত্বাধীন পুলিশবাহিনী সেই জমায়েত হঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল পালের অভিযোগ, বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে শাসিয়েছে বিজেপি-র বাইকবাহিনী। তিনি বলেছেন, ‘‘এক সঙ্গে অনেক বাইক এসে ঘুরতে থাকে। বাড়িতেও ধাক্কা মারে। বলছিল, ভোটে লড়ে লাভ নেই।’’ বাড়ির সামনে এক দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় এই দৃশ্যও ধরা পড়েছে। এছাড়া আমবাসায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও বিজেপি-র বাইক বাহিনী এসে প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা প্রসঙ্গে বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করে ফিরহাদ হাকিম এক টুইটার বার্তায় বলেন, “বিপ্লব দেব এবং তাঁর গুণ্ডাবাহিনী ত্রিপুরার মানুষকে অত্যাচার করার জন্য সব কিছু করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়ব এবং যত দিন না ত্রিপুরা সুশাসন পাচ্ছে তত দিন কাজ করে যাব।”