HighlightNewsদেশ

হরিয়ানার মেওয়াতে উদ্ধার মুসলিম যুবকের মৃতদেহ, পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি বোনের

টিডিএন ডেস্ক বাংলা: সোমবার হরিয়ানার সোহনা জেলার লাখুয়াস গ্রামের একটি মাঠে এক মুসলিম যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই মৃতদেহ আসলে আমির খান নামে ২৮ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবকের বলে জানা গিয়েছে। যিনি ১৯ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। আমির খান অটো চালক হিসেবে কাজ করতেন। আমিরের পরিবার অন্যান্য অটো চালকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিল যে তিনি ১৯ আগস্ট কিছু যাত্রীকে মেওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন আমির খান। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ তুলেছে।

অতি সম্প্রতি হরিয়ানার মেওয়াত বা নুহ রাজ্যে একটি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল এবং ভিএইচপি একটি উস্কানিমূলক সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই মর্ময়ান্তিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে হরিয়ানায়। এমতাবস্থায় গত কাল সোমবার স্থানীয় গ্রামবাসীরা মাঠের মধ্যে একটি লাশ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশে খবর দেয়। মৃতদেহটি একটি বিছানার চাদরে মোড়ানো ছিল এবং তার ক্ষতিগ্রস্থ অটো থেকে খুব দূরে পাওয়া যায়।

তার শরীরে বহু স্থানে বিশেষ করে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে বলে খবর। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমির খানের বোন শাহরুনা বলেছেন, ‘আমি আমার ভাইকে খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই। তার মাথায় চারদিক থেকে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হয় এবং তার মুখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি জানি না তাকে মারতে কী ব্যবহার করা হয়েছিল।’

আমির খানের তিনটি ছোট সন্তান এবং একজন স্ত্রী ছিলেন যারা বেঁচে ছিলেন। এ ঘটনায় সোহনা সিটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোরে কয়েকজন মহিলা মাঠে মৃতদেহ দেখতে পান। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মাকতুব মিডিয়া

Related Articles

Back to top button
error: