টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ নাবালিকা কুস্তিগীর প্রাক্তন ডব্লিউএফআই সভাপতি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেও, আন্তর্জাতিক রেফারির বক্তব্য অসুবিধা বাড়িয়ে দিতে পারে ব্রিজ ভূষণের। আন্তর্জাতিক রেফারি জগবীর সিং দিল্লি পুলিশের কাছে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিজ ভূষণ এবং মহিলা কুস্তিগীর পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন। মহিলা কুস্তিগীর তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে যান। তাঁকে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতে দেখা যাচ্ছিল।
জগবীর পুলিশকে জানিয়েছেন, উনি ব্রিজ ভূষণকে ধাক্কা দিয়ে কিছু একটা বলে ওখান থেকে চলে যান। ব্রিজভূষণ হাত দিয়ে কুস্তিগীরদের স্পর্শ করছিলেন। মনে হয় সেদিন কিছু বেঠিক কাজ হয়েছিল। উল্লেখ্য, ছ’জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কুস্তিগীর ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় দিল্লি পুলিশ ২ জন মহিলা কুস্তিগীর, একজন আন্তর্জাতিক রেফারি এবং একজন কোচের বয়ান রেকর্ড করেছে।
ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে কুস্তিগীরদের প্রতিবাদের ক্ষেত্রে, দিল্লি পুলিশ বম বম মহারাজ নৌহাতিয়ার অভিযোগে একটি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট দায়ের করেছে। দিল্লি পুলিশ অভিজগকারির দেওয়া ভিডিও উপস্থাপন করে জানিয়েছে, কুস্তিগীরদের স্লোগান তুলতে দেখা যাচ্ছে না, তারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের মত কোনও অপরাধ করেনি। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে ৭ জুলাই।
দিল্লি পুলিশের কাছে দেওয়া নিজেদের বিবৃতিতে, ২০১০ কমনওয়েলথে স্বর্ণপদক বিজয়ী অনিতাও কুস্তিগীরদের দাবিকে সমর্থন করেছেন৷ অনিতা জানিয়েছেন, মহিলা কুস্তিগীর বলেছিলেন যে ব্রিজভূষণ তাঁকে জোর করে রুমে ডেকে জড়িয়ে ধরেন। ওই কুস্তিগীর আমার সামনে কেঁদেছিলেন।
এদিকে, ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া নাবালিকা কুস্তিগীরের বাবা বলেছেন, তিনি যৌন নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নিজের মেয়ের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে তিনি এই কাজ করেছেন। নাবালিকা কুস্তিগীরের বাবা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আদালতের বদলে এখনই সত্য বেরিয়ে আসা ভালো। সরকার আমার মেয়ের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমি আমার ভুল সংশোধন করছি।
অন্যদিকে, প্রাক্তন ডব্লিউএফআই সভাপতি ব্রিজ ভূষণ নাবালিকা কুস্তিগীরের যৌন নির্যাতনের বিবৃতি পরিবর্তনের বিষয়ে নীরবতা ভেঙ্গেছেন। তিনি বলেন, সব বিষয় আদালতের সামনে রয়েছে। সরকারও আশ্বাস দিয়েছে যে ১৫ জুনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হবে। চার্জশিট দাখিল করা হোক। আমার মনে হয় না, এখন কিছু বলার দরকার আছে। কথা বলার উপযুক্ত হলে তাও বলা হবে।