টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের স্রেষ্ট নবী মহম্মদ (সঃ) কে অবমাননা করে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে মুসলিম দুনিয়ায়। এই ঘটনায় বিপাকে পড়েছে ভারত সরকার। কারণ মুসলিম দেশগুলি ভারতীয় পণ্যের অন্যতম ক্রেতা। এছাড়াও ওই সব দেশে যে সমস্ত অমুসলিম ভারতীয়ারা কাজ করছেন তাদেরকেও ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন ওই সব দেশের নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনগুলি। তাদের দাবি অবিলম্বে ভারত সরকারকে এই ঘটনায় ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে ভবিষ্যতে যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্যি না হয়। বস্তুত এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে।
পয়গম্বর মহানবী মহম্মদ (সঃ) কে নিয়ে বিজেপির দুই জাতীয় মুখপাত্রের আপত্তিজনক মন্তব্যের পর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলি। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ইরান সহ বহু দেশ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে। এই সুযগে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও।
এমতাবস্থায় রবিবার দুপুরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের দুই জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এক বিবৃতিতে জানায়, কোনও ধর্মের প্রতি অবমাননা দল সমর্থন করে না এবং যারা এই ধরনের কাজ করে দল তাদের পাশে থাকে না। কিন্তু এই পদক্ষেপ করেও ক্ষোভ প্রশমন হচ্ছে না। কমছে না মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে অসন্তোষ। ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য সোশাল মিডিয়ায় হুহু করে বার্তা ছড়িয়ে পড়াই তার উজ্জ্বল প্রমাণ। বিদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বর্তমান সরকারের ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি।
তিন দিনের কাতার সফরে থাকা ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর উপস্থিতিতে কাতার একটি বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘এই মন্তব্যের জন্য কাতার ভারত সরকারের কাছ থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে ক্ষমা এবং অবিলম্বে নিন্দা প্রত্যাশা করছে, এই ধরনের ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের কারণে শাস্তি না হওয়া মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য একটি গুরুতর বিপদ এবং তা আরো কুসংস্কারের দিকে ঠেলে দিতে পারে। যা ক্রমশ হিংসা ও ঘৃণার চক্র তৈরি করবে। এছাড়া এই ধরনের অপমানজনক মন্তব্য ধর্মীয় বিদ্বেষের উসকানি দেবে এবং সারা বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মুসলমানকে ক্ষুব্ধ করবে।’