নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, বীরভূম: “আমার বাড়িতে এলো আর আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করলো না” এমনই দাবি করলেন বাসুদেব দাস বাউল। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস বোলপুর কার্যালয়ে সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন তিনি। গত কুড়ি জানুয়ারি বোলপুরে কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রতন পল্লীর শ্যাম বাটিতে ওই বাউল শিল্পীর ঘরে মধ্যাহ্নভোজন করেন অমিত শাহ।
সেদিনের ভোজনকে এদিন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিনয় বলে কটাক্ষ করেন। এদিকে বাউল শিল্পী কে তাদের দিকে টানা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। এর আগে বহুবার করেছে সেই কাজ।
আগামী ২৯ শে ডিসেম্বর রোড সো করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের বোলপুরের রোড শো এর পাল্টা হিসেবে এই কর্মসূচি। জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপির মত জেলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকে নয় শুধুমাত্র বোলপুর মহকুমা থেকে আড়াই লক্ষ মানুষের সমাগম করা হবে। আর তাতে দেড় হাজার বাউল শিল্পী ও উপস্থিত থাকবেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাসুদেব দাস বাউল। যিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছেন। তার বাড়িতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজন করেন কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে। এদিন সেই বাউল শিল্পী কেই বোলপুরের জেলা তৃনমূল কার্যালয়ের একমাত্র কন্যাসহ দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলের পাশে। জেলা তৃণমূল সভাপতি আশ্বস্ত করেন তার মেয়ের বিএড ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। বাসুদেব দাস বাউল বলেন,” উনার মত ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া করলেন অথচ আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। বাড়িতে এমএ পাস করা আমার মেয়ে বসে আছে টাকা পয়সার অভাব এর জন্য তার কিছু করতে পারছিনা এখন। সেটা বলার সুযোগ পেলাম না। দিদি এখানে আসছেন আমাদের নেমন্তন্ন করেছেন আমি সেদিন অন্যান্য বাউল শিল্পীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবো। যদিও আমরা শিল্পী আমরা কোনো দলের নয়। যে ডাকবে তার কাছেই যাবো”।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন,” সেদিন অমিত শাহ বাউল শিল্পীর বাড়িতে অভিনয় করার জন্য এসেছিলেন। আন্না বাউল শিল্পীর মেয়ের পরবর্তী পড়াশোনার বিষয়টির দায়িত্ব নিচ্ছি”।
জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন,” এটাই তৃণমূল এর নোংরা রাজনীতি। তারা খুন করাবে আর যে খুন হবে তার বউকে দিয়ে বলাবে খুনি ব্যক্তি তার স্বামীকে খুন করেনি। কোন মেয়ে ধর্ষিতা হলে তার বাবা কে দিয়ে বলাবে অভিযুক্ত ধর্ষণ করে নি। এটা নতুন কিছু নয় তৃণমূল এর আগেও করেছে। এটাই ওদের নোংরা রাজনীতির পরিচয়”।
