কুতুব মিনার চত্বরে হিন্দু ও জৈন দেবদেবীর মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মামলা দিল্লি আদালতে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মন্দির-মসজিদ নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের মধ্যেই এবার কুতুব মিনার চত্বরে হিন্দু ও জৈন দেবদেবীদের মূর্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি আদালতে। জানা গিয়েছে, জৈন সম্প্রদায়ের দেবতা ঋষভ দেবের ও হিন্দুদের ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর হয়ে মামলা করেছেন জ্ঞানবাপী মামলার হিন্দু পক্ষের আইনজীবী হরিশংকর জৈন এবং রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী। আগামীকাল দিল্লি আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।
জানা গিয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ইতিহাস সংক্রান্ত একটি নথি দেখিয়ে মামলাকারী ওই দুই আইনজীবী দাবি করেছেন, কুতুব মিনার চত্বরে সাতাশটি মন্দির ধ্বংস করে সেই পাথর দিয়ে কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ তৈরি করেন মোহাম্মদ ঘোরির সেনানায়ক কুতুবউদ্দিন আইবক। ওই চত্বর থেকে বিষ্ণু, কৃষ্ণ, গণেশ, যক্ষ সহ বেশ কিছু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, মামলাকারীদের দাবি, কলস ও পদ্ম ফুলের মত পবিত্র সংকেত চিহ্ন এটা স্পষ্ট করে দেয় যে, এটি আসলে হিন্দু মন্দির ছিল। কুতুব মিনার চত্বরে বিষ্ণু ও ঋষভ দেবের বিশাল মন্দির ছিল। আজকের কুতুবমিনার আসলে তখনকার তৈরি মেরু ধ্বজ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এসআইয়ের একজন প্রাক্তন আধিকারিক ধরমবীর শর্মা জানিয়েছিলেন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। তিনি সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ধারণ করার জন্য বানিয়ে ছিলেন এই মিনার। এছাড়াও ওই চত্বর থেকে কৃষ্ণ গণেশ সহ বেশ কিছু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে দাবি জানানো হয়েছিল, কুতুবমিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করতে হবে। শুধু তাই নয়, হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, সাতাশটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরি হয়েছিল কুতুব মিনার। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত দিক বিচার করেই এসআইকে কেন্দ্রের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাটি খুঁড়ে বিষয়গুলি অনুসন্ধান করার। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, ১৯৯৯ সালের পর থেকে কুতুব মিনার চত্বরে কখনও খননকাজ চালানো হয়নি।