HighlightNewsদেশ

কর্ণাটকের স্কুল ও কলেজে জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক, আদেশ শিক্ষামন্ত্রীর

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাজ্যের তিনটি স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়া হচ্ছিল না। অভিযোগ পেয়ে কর্নাটকের স্কুল ও কলেজে জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক করার আদেশ জারি করলেন শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট এলাকার সেন্ট জোসেফ বয়েজ হাই স্কুল, বিশপ কটন বয়েজ হাই স্কুল এবং বাল্ডউইন গার্লস হাই স্কুলের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার অভিযোগ পেয়ে কর্ণাটকের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ রাজ্যের সমস্ত স্কুলে সকালের প্রার্থনার পরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছেন। ১৭ আগস্টের এই আদেশটি রাজ্যের সমস্ত সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি স্কুল এবং প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জন্য প্রযোজ্য হবে।

সরকারি আদেশ কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও বেঙ্গালুরুর ৩টি স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ পেয়ে সেখানে তদন্ত করতে পৌঁছেছিল একটি দল। জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে, বেঙ্গালুরুর উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগ, পাবলিক ইন্সট্রাকশন বিভাগের উপ-পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিদর্শন করেন এবং নিশ্চিত করেন যে সকালের প্রার্থনায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছিল না।

বেঙ্গালুরু উত্তরের ডিডিপিআই লোহিতাশ্ব রেড্ডি এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে এমন স্কুলগুলিতে নোটিশ জারি করা হয়েছিল যেখানে ছাত্ররা জাতীয় সঙ্গীত গাইছে না। এখন সেখানে নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে।

এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় সেন্ট জোসেফ বয়েজ হাই স্কুল, বিশপ কটন বয়েজ হাই স্কুল এবং বাল্ডউইন গার্লস হাই স্কুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, কর্ণাটক শিক্ষা আইনের ১৩৩(২) ধারা অনুসারে, গণ প্রার্থনার জন্য জায়গার অভাব হলে ক্লাসে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নিয়ম রয়েছে।

কর্ণাটকের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী বি.সি. নাগেশ আরো জানিয়েছেন, “স্কুলগুলির এই বছর গণেশ চতুর্থী উদযাপনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে এবং তারা প্রতি বছরের মতো এটি চালিয়ে যেতে পারে।” একই সঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে গণেশ চতুর্থীকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। এটি একটি আন্দোলন।

Related Articles

Back to top button
error: