নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় নতুন মোড়, সিবিআইয়ের হাতে গ্ৰেফতার ১১ জন তৃণমূল কর্মী

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও হত্যার অভিযোগ ওঠে। খুন হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এর জেরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকার বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে। এমনই একটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ান, তার জামাইসহ অনেকের বিরুদ্ধে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার তদন্তের ভার যায় সিবিআই এর উপর। দীর্ঘদিন তদন্তের পর অবশেষে সিবিআই হলদিয়া মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এই চার্জশিটে অবশ্য সুফিয়ানের নাম নেই‌। তবে তার জামাই শেখ হাবিবুলসহ আরো অনেকের নাম আছে বলে খবর। আজ শনিবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জন তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা ও খুনের মামলায় এই প্রথম একসঙ্গে এত জনকে গ্রেপ্তার করা হল। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী শেখ সাহাউদ্দিন, শেখ বাইতুল ইসলাম, শেখ হাবিবুল, শেখ মুখতার রহমান, শেখ মহিদুল ইসলাম, হায়াতুল ইসলাম শেখ, শেখ আতুল রহমান, শেখ মুখতাদির, শেখ মুস্তাক রহমান, আব্দুল হাই শেখ এবং শেখ নাজিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শেখ সাহাউদ্দিন কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। শেখ বাইতুল ইসলাম নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং শেখ হাবিবুল মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। এ ছাড়াও হাবিবুলের আর একটি পরিচয় হল তিনি সুফিয়ানের জামাই।