HighlightNewsরাজ্য

সিবিএসই ও সিআইএসসিই বোর্ড পরীক্ষা নিচ্ছে, রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে সংশয়

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দিল্লির সিবিএসই ও সিআইএসসিই বোর্ড অফলাইনে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা নিয়েছে। অন্যগুলিও তারা অফলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে আবারও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে। কারণ এখনও এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। যার ফলে পরিক্ষা হবে কিনা সে বিষয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন পরিক্ষার্থিরা। দিল্লির সিবিএসই ও সিআইএসসিই বোর্ড অফলাইনে যদি পরিক্ষা নিতে পারে, তাহলে এ রাজ্যেও অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা নেওয়া উচিৎ বলে মতামত প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

তার উপরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার যেরে ক্ষোভ বেরেছে শিক্ষক শিবির ও অভিভাবকদের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, “পড়াশোনা ও পরীক্ষার নমুনা যদি এই হয়, তা হলে ক’জন আর এই ধরনের সরকারি স্কুলে পড়তে চাইবে? অভিভাবকেরা তো ছেলেমেয়েদের বেসরকারি স্কুলেই দেবেন। রেস্তরাঁ, পানশালা খুলে রাখা গেলে নবম থেকে দ্বাদশ কি খুলে রাখা যেত না?”

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “অনলাইন ক্লাসের উপরে গুরত্ব দেওয়ার কথা বলছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু অনলাইন ক্লাস কী ভাবে নেওয়া হবে, গত দেড় বছরে শিক্ষা দফতর থেকে তার কোনও রূপরেখা দিতে পারেনি। স্কুলে ওয়াইফাই পরিকাঠামো তৈরি করতে পারলে শিক্ষকেরা স্কুলে এসেও অনলাইন ক্লাস নিতে পারতেন। অনলাইন ক্লাস হচ্ছে না, অফলাইন ক্লাসও বন্ধ। সব মিলিয়ে করোনাকালে আর্থিক ভাবে দুর্বল পড়ুয়ারা ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।” আবার অনেকে বলেছেন, যেহেতু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুজেহেত টিকাকরণ হচ্ছে। তাই অবিলম্বে স্কুল খুলে রাখা উচিৎ।

স্কুল-কলেজ আবারো বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ছাত্রসংগঠন স্টুডেন্ট ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া(এসআইও) ধর্মতলা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তারা অবিলম্বে করোনার বিধিনিষেধ মেনে স্কুল-কলেজ গুলোতে পঠন-পাঠন চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা। এক রাজ‍্য নেতা বলেন, “স্কুলগুলি মিডডেমিল ও অন্যান্য সহযোগিতা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি মমতা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “আপনি ক্রেডিট কার্ড দেবেন, অথচ শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢুকতে দেবেন না! এই দিচারিতা বন্ধ করুন।” অপর এক রাজ‍্য নেতা বলেন, “শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে নষ্ট করে যুব সমাজকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে। অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। অন‍্যথায় আমরা রাস্তায় রাস্তায় ক্লাস রুম বানাবো।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “সমস্ত প্রতিষ্ঠান ৫০% কর্মী নিয়ে চলবে আর শুধু স্কুল বন্ধ থাকবে, এটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়।” এ ছাড়াও অনেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button
error: