টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে এক নাগাড়ে চলা মেঘভাঙা অতিবৃষ্টি ও পাশাপাশি তিস্তা নদীর জলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে বিস্তর এলাকা। জলের নীচে চলে গিয়েছে অসংখ্য এলাকা। যার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চারিদিকে জল থৈ থৈ করায় এক প্রকার অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ জনতা। রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি বিরাজ করছে উত্তরবঙ্গে। এদিকে উত্তর সিকিমে তিস্তার জলস্তর ২০ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেনা ছাউনি। জলের তোড়ে ৪১টি গাড়ি ভেসে গিয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ আছেন ২৩ জন সেনা।
এই ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বিশেষ নির্দেশে জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মন্ত্রী ও আমলাদের একটি বিশেষ দল। সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ির নীচু এলাকা থেকে মানুষকে সরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক জলে ভেসে গিয়েছে। সিকিম–দার্জিলিং পাহাড় পেরিয়ে তিস্তা নদীর জল শিলিগুড়ির দিকে নামতে শুরু করেছে। লোনক হ্রদ ফেটে জল তিস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে। জলের তোড়ে ঘরবাড়ি, রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। গোটা জাতীয় সড়কই যে কোনও সময় তিস্তার গর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।