চিন্তিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, চলতি মাসেই ত্রিপুরা যেতে পারেন জেপি নাড্ডা

ছবি ট‍্যুইটার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বাংলাতে বিজেপিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস চরমে তৃণমূলের। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে এবার থাবা বসাতে চায় তারা। সেইমতো শুরু হয়ে গেছে কর্মকাণ্ডও। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে বিপ্লব দেবের ওপরই শুধু ভরসা করতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, স্থানীয় নেতাদের থেকে রোজ খোঁজখবর নিচ্ছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতে চলতি মাসে তিনি নিজেই ত্রিপুরায় যেতে পারেন। ২১ এর বিধানসভা ভোটে বাংলাতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে ছিলেন মোদি-শাহরা। তাতে অবশ্য তৃণমূলের গড়ে দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

উল্টে সেই তৃণমূলই এবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে ঘাস ফুল ফোটাতে মরিয়া। পরিস্থিতি আজ করে ত্রিপুরা বিজেপির ওপর গোটা বিষয়টি ছেড়ে না দিয়ে ময়দানে নামছেন জেপি নাড্ডা। ত্রিপুরার পদ্ম নেতারা তৃণমূল সম্পর্কে কী বলবেন, কী বলবেন না সেটা ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে দিল্লি থেকে। ২০২৩ এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। কিন্তু হাওয়া ঘুরতে শুরু করলে সময়টা যে নিমেষেই কেটে যাবে তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ৩ বছর আগে মানিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন বিপ্লব দেব।

তারপর থেকে সে ভাবে রাজপাট সামলাচ্ছিলেন নিশ্চিন্তেই। কিন্তু রাজ্যে হঠাৎ তৃণমূলের তৎপরতা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজেপির সাংগঠনিক নেতাদের। ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে সুনীল দেওধরের মত দুদে রাজনীতিবিদকে। কারণ ত্রিপুরার স্থানীয় অনেক বিজেপি নেতার থেকে ওই রাজ্যকে অনেক বেশি চেনেন তিনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির আইটি সেলকে দিল্লি থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ত্রিপুরার আইটি সেলকে প্রয়োজনীয় সব রকম তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ দিয়ে সহযোগিতা করতে।