বিধানসভা ভোটের আগে বাড়তি গুরুত্ব, বিক্ষুব্ধদের মানভঞ্জন কমিটি গড়ল কংগ্রেস

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ২২ সালে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতাদের। সূত্রের খবর, বর্ষিয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিংকে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকী ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে হাইকমান্ডের অনুমতিতে। যে কমিটিতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও। এই কমিটির প্রধান কাজ কী? দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় স্তরে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের কর্মসূচি স্থির করা কমিটির প্রধান কাজ। পাশাপাশি অন্যান্য দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ করবে এই কমিটির সদস্যরা। কমিটিতে প্রিয়াঙ্কা থাকলেও, নেই রাহুল গান্ধি। কারণ যে ২৩ জন নেতা ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন, তাদের কাছে রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ২৩ জন নেতা একজোট হয়ে ছিলেন। ফলে ওই কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন রিপুন বরা, উদিত রাজ, বিকে হরিপ্রসাদের মত নেতারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সামনের বছর বিধানসভা ভোট। এই ভোটে পরাজয় মানে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাই সময় থাকতেই বিক্ষুব্ধ ২৩ জন বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খুলতে চাইছে হাইকমান্ড। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কপিল সিব্বল, মণীশ তিওয়ারি, বীরাপ্পা মইলি, গুলাম নবি আজাদ এর মত নেতাদের সঙ্গে যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক রয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংয়ের। সেটাকে কাজে লাগাতে চায় হাইকমান্ড।কমিটিতে রাহুলের অনুপস্থিতি দেখে রাজনৈতিক মহল আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। তারা মনে করছেন, রাহুল না থাকার ফলে আগামী দিন তৃণমূলের মতন দলগুলোর সঙ্গে একজোট হওয়ার পথ মসৃণ করবে। যদিও প্রিয়াঙ্কা সম্পর্কে তৃণমূলের অবস্থান নমনীয়।