কোভিশিল্ডকে গ্রিন সিগন্যাল আমেরিকার
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিল বাইডেন প্রশাসন। নভেম্বর থেকেই টিকার দু’টি ডোজ যারা নিয়েছেন, সেইসব পর্যটকদের খুলে দেওয়া হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দরজা। ভারত সহ মোট ৩৩টি দেশ রয়েছে সেই তালিকায়। ব্রিটেন যদিও সেই পথে হাঁটেনি।
এই ইস্যুতে পাল্টা চাপের কৌশল নিল নয়াদিল্লি। বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাফ জানিয়েছেন, ‘কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি না দেওয়া ব্রিটেনের আচরণ বৈষম্যমূলক। ভারতেরও কিন্তু পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’
ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন সফরের আগে পর্যটকদের এফডিএ অথবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স্বীকৃত ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার প্রমাণ জমা করতে হবে। এখনও পর্যন্ত সাতটি ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে হু। সেগুলি হল—আমেরিকার মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ভারতের কোভিশিল্ড, চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক।
ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেয়েছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তৈরি টিকা। ভারতে এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। ফলে কার্যত দু’টি ভ্যাকসিনই অভিন্ন। তা সত্ত্বেও কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দেয়নি ব্রিটেন। এদিন সেই প্রসঙ্গে নয়াদিল্লিতে বিদেশ সচিব শ্রিংলা বলেছেন, ‘বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ব্রিটেনের নয়া বিদেশ সচিবকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশার বিষয় হল, উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় আশ্বাসও মিলেছে।’