টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিহারের নবনির্বাচিত নীতির সরকারের নবনির্মিত মন্ত্রিপরিষদের ১৪ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধেই দায় রয়েছে ফৌজদারি মামলা। নির্বাচনের অধিকার সংক্রান্ত সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মের রিপোর্ট অনুযায়ী মন্ত্রী মন্ডলের ৬ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ অর্থাৎ অজামিনযোগ্য অপরাধের মামলা দায়ের রয়েছে। ওই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, জনতা দল ইউনাইটেডের ছয়জন মন্ত্রীর মধ্যে দুজন, বিজেপির ছ’জন মন্ত্রীর মধ্যে চারজন, হিন্দুস্থানী আবাম মোর্চার একজন এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির একজন মন্ত্রীর দায়ের করা হলফনামা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এডিআরের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, নীতীশ সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী (৯৩ শতাংশ) কোটিপতি এবং তাদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৯৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে তারাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধি মেওয়া লাল চৌধুরীর সম্পত্তির পরিমাণ সর্বাধিক। প্রায় ১২.৩১ কোটি টাকা। আর সব থেকে কম সম্পত্তির মালিক অশোক চৌধুরী। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭২.৮৭ লক্ষ টাকা।
শুধু তাই নয়, এডিআরের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কোটিপতি, লক্ষপতি এই মন্ত্রীদের মধ্যে ২৯ শতাংশের অর্থাৎ চারজন মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাকি ১০ জন মন্ত্রী স্নাতক-স্নাতকোত্তর শিক্ষা অর্জন করার দাবি করেছেন। মন্ত্রিসভার ছ’জন মন্ত্রীর বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, আর বাকি আটজন মন্ত্রীর বয়স ৫১-৭৫ বছরের মধ্যে।