টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন। পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় নাবালিকার। মরার পরও রেহাই পায়নি কিশোরী। তারপরেও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করা হয় নিথর দেহকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য রাজস্থানের বুদিতে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জয় যাদব বলেন, “দীর্ঘ কর্মজীবনে এমন ভয়ংকর, হিংস্র, জঘন্য অপরাধের কথা শুনিনি।” ঘটনার সূত্রপাত ২৩ ডিসেম্বর। মাঠে ছাগল নিয়ে গিয়েছিল ১৬ বছরের নাবালিকা। পাড়ার কয়েকজন মেয়েও ছিল তার সঙ্গে। তারা বাড়ি ফিরলেও, ওই নাবালিকা ফেরেনি। সন্ধ্যার পর পাশের গ্রামের জঙ্গলে মেয়ের নগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবার। হাত-পা ওড়না দিয়ে বাঁধা। শরীরে গভীর ক্ষত চিহ্ন। ভারী কিছু বস্তু দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে বাসোলি থানার পুলিশ। রাতভর চলে তল্লাসি। পরের দিন সকালে সুলতান নামে এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাকে জেরা করে আরও এক দুষ্কৃতীর খোঁজ মিলেছে। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
অন্যদিকে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এক নাবালকও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাত-পা বেঁধে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকী মৃতদেহের সঙ্গেও যৌন নির্যাতন চালানো হয়। বুন্দির বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, অভিযুক্তদের হয়ে আইনি লড়াইয়ের যাবেন না কোনও আইনজীবী।